বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য গত বুধবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন সৌরভ। যাওয়ার আগে মা তাঁকে বলেছিলেন, ‘সাবধানে থাকিস।’ বাবা কেরল থেকে ফোন করে ছেলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন তাঁর এতদিনের অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান। বলে দিয়েছিলেন বিপদে পড়লে উদ্ধার পাওয়ার কিছু কৌশলও। কিন্তু কিছুই কাজে এল না! শুক্রবার গভীর রাতে মাঝসমুদ্রে ডুবে যায় এফ বি গোবিন্দ ট্রলার। রবিবার উদ্ধার হয় সৌরভের মৃতদেহ। ট্রলার দুর্ঘটনার কথা শুনে শনিবার রাতেই কেরল থেকে বাড়ি ফিরেছেন সুফলবাবু। এখন বুকফাটা হাহাকারই তাঁর সম্বল।
কৈলাসনগরের আরেক মৎস্যজীবী নিখিল দাস এই ট্রলারে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। তাঁর পরিবারে রয়েছে স্ত্রী ও দুই ছেলে। দুই ছেলেকে ভালোভাবে শিক্ষিত করা ছিল তাঁর স্বপ্ন। সমুদ্রে রওনা হওয়ার দিন স্ত্রীকে তিনি বলে গিয়েছিলেন, ‘ছেলেদের দেখাশোনা করো। স্কুল যাওয়া যেন বন্ধ না করে।’ নিখিলবাবুর মৃত্যুতে দুই ছেলেকে নিয়ে এখন দিশাহারা তাঁর স্ত্রী। মাইতির চকের বাসিন্দা জগবন্ধু দাস ৬০ বছর বয়সেও পরিবারের সবাইকে ভালো রাখতে এই ট্রলারে করে সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছিলেন। তাঁরও আর ফেরা হয়নি! - নিজস্ব চিত্র