বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
শুক্রবার গভীর রাতে সমুদ্রে ‘মিনি টর্নেডো’র কবলে পড়ে ডুবে যায় এফ বি গোবিন্দ নামে একটি ট্রলার। ওই ট্রলারে মোট ১৭জন মৎস্যজীবী ছিলেন। তাঁদের মধ্যে আটজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও বাকি ন’জন নিখোঁজ ছিলেন। তাঁদের বেঁচে থাকার আশা ক্রমশ ক্ষীণ হচ্ছিল। ডুবে যাওয়া ট্রলারটি উপকূলে টেনে নিয়ে আসার জন্য সবরকম চেষ্টা শুরু হয় শনিবার সকাল থেকে। রবিবারও সেই চেষ্টা অব্যাহত থাকে। অবশেষে এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ ডুবন্ত ট্রলারটি নামখানার লোথিয়ান দ্বীপের কাছে টেনে আনা সম্ভব হয়। তারপর দড়ির সাহায্যে উল্টে যাওয়া ট্রলারটিকে প্রথমে সোজা করা হয়। তখনই কেবিনের উপরে দেখা যায়, দুটি নিথর দেহ জালে জড়িয়ে রয়েছে। পাম্প চালিয়ে ট্রলারের ভিতরের সমস্ত জল ছেঁচে ফেলা হয়। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলে এই পর্ব। তারপর কেবিনের ভিতর থেকে এক এক করে ছ’টি দেহ উদ্ধার হয়। নৌকোয় করে নামখানার হরিপুর খেয়াঘাটে নিয়ে আসা হয় দেহগুলি।
খেয়াঘাটে উপস্থিত ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, মথুরাপুরের সাংসদ বাপি হালদার, সুন্দরবন পুলিস জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও সহ প্রশাসনের কর্তারা। স্থানীয় মানুষজনও প্রচুর সংখ্যায় ভিড় জমিয়েছিলেন। ছিলেন মৎস্যজীবীদের পরিবারের লোকজনও। দেহ নিয়ে নৌকা ঘাটে লাগতেই কান্নার রোল ওঠে। স্বজনহারার হাহাকারে ভারী হয়ে ওঠে বাতাস।
এদিন রাতে মৃত ও নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিবারের হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তিন লক্ষ টাকার চেক তুলে দেওয়া হয়। প্রশাসনিক স্তরেও মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। তবে এরকম ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০১৬ সালে এমনই এক সামুদ্রিক ঝড়ের কবলে পড়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন ২২ জন মৎস্যজীবী। তাঁদের খোঁজ আজও মেলেনি! ২০২১ সালে চরে ধাক্কা লেগে ট্রলার উল্টে মৃত্যু হয়েছিল ১০জন মৎস্যজীবীর।