বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
সপরিবারে চুঁচুড়া থেকে এসেছেন সোমনাথ ঘোষ। বলছিলেন, ‘ছোটখাটো চাকরি করি। সপ্তাহে এই একটা দিন ছুটি। বউ-বাচ্চাকে নিয়ে তিনজনের সংসার আমার। বছরে এই একবারই কেনাকাটা হয়। এই একবারই চারটে দিনের ছুটি। এই একবারই একটু হইহই।’ আন্দোলনজীবীদের নীতিশিক্ষার ফাঁদে পড়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল হকার থেকে দোকানদারদের। কিন্তু পুজোর দু’সপ্তাহ আগে একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন তাঁরা। বিক্রেতাদের কথায়, ‘ঋণের টাকা উঠে যাবে। আর যা হয়... ওটুকুই পকেটে থাকবে।’ নিউ মার্কেটের বিক্রেতা বিশাল গুপ্তা বলছিলেন, ‘প্রথম দিকে অবস্থা খারাপ ছিল। এখন একটু ভালো হচ্ছে। এইভাবে চললে মোটামুটি উতরে যাবে।’
নিউ মার্কেটে এলেই মনে হচ্ছে পুজো এসে গিয়েছে। এলাকাজুড়ে একেবারে সাজ সাজ রব। বাজারের সঙ্গেই ‘ফুড ফেস্টিভ্যাল’ চলছে। মার্কেটিংয়ের ফাঁকে সেখানে পাতপেড়ে খাওয়া। ভেসে আসছে ঢাকের বাদ্যি। ব্র্যান্ডেড স্টোরের বাইরে মাইকে ঘোষণা হচ্ছে ‘অফার’! আর হকারদের সুরেলা হাঁক-ডাক তো রয়েইছে। মাঝে মধ্যে ক্যাপ-বন্দুক বিক্রেতারা জানান দিচ্ছেন, আমরাও আছি। আর পায়ে পায়ে ক্রেতাদের ‘কলকাকলি’। তার সঙ্গে দরাদরি। যতটা কম দামে জামা-কাপড় তুলে নেওয়া যায়, তার আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছেন ক্রেতারা। চলতি বছর নিউ মার্কেটে রাস্তার হকাররা ফুটপাতের দিকে সরে যাওয়ার ফলে রাস্তা বেশ খানিকটা চওড়া হয়েছে। ফলে অনেক মানুষ ওই এলাকায় ভিড় জমাতে পারছেন।
পুজো শুরু হওয়ার মাঝে আর মাত্র দু’টি রবিবার। তার আগে এই রবিবার শহরের তিন ‘বাজার হটস্পট’ কার্যত প্রতিযোগিতায় নামল। নিউ মার্কেট যখন দুপুর থেকেই জমজমাট, হাতিবাগান আর গড়িয়াহাট দুপুরের দিকে খানিক ফাঁকা ছিল। তবে বিকেল হতেই বদলাতে শুরু করে চিত্র। বিক্রেতাদের মুখে চওড়া হাসি। হাতিবাগানের বিক্রেতা শৈলেন নন্দী বলছিলেন, ‘ধীরে ধীরে ভিড় বাড়ছে পুজোর বাজারে। হাতে আর দু’টো রবিবার। মনে হয় আর সমস্যা হবে না।’ গড়িয়াহাটগামী বাসগুলোতে বিকেল থেকে তিল ধারণের জায়গা নেই। গড়িয়াহাট ছাড়তেই কিন্তু বাস একেবারে ফাঁকা। সন্ধ্যা নাগাদ অবশ্য দু’টো মিছিল এসে
পড়ে গড়িয়াহাটে। অর্থাৎ, আবার ব্যবসার আকাশে কালো মেঘ। আবার চেষ্টা ব্যবসা চাঙ্গা করার। বাকি আর যে মাত্র ১৫ দিন!