বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
রক্তের নতুন গ্রুপটি কতটা বিরল? রবিবার এই প্রসঙ্গে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সংবহনবিদ্যা বিভাগের প্রধান ডাঃ প্রসূন ভট্টাচার্য বলেন, যেটুকু শুনেছি হাজার বা লক্ষ নয়, রক্তের এই গ্রুপ পাওয়া গিয়েছে কয়েক কোটি মানুষের মধ্যে হাতেগোনা কয়েকজনের। দেখা গিয়েছে, বিশেষ বিশেষ রক্তের গ্রুপের সঙ্গে বিশেষ বিশেষ রোগের সম্পর্ক থাকে। ফলে বলা বাহুল্য, নতুন আবিষ্কারের সূত্র ধরে বহু মানুষ উপকৃত হবেন। অসুখবিসুখে চিকিৎসায় সুবিধা হবে। তাঁদের প্রাণ বাঁচবে। বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, দক্ষিণ গ্লুচেস্টারশায়ারের এনএইচএস ব্লাড অ্যান্ড ট্রান্সপ্লান্ট (এনএইচএসবিটি) বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে এবং ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায় একটি গবেষক দল রক্তের এই নতুন গ্রুপটি আবিষ্কার করেছেন। এতদিন রক্তের এই গ্রুপ নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে অনেক ধোঁয়াশা ছিল। অবশেষে খুলল সেই রহস্যের জট। আসলে গবেষক দলটি ‘এএনডব্লুজে’ নামের রক্তের গ্রুপ অ্যান্টিজেনের জেনেটিক ভিত্তি বার করতে পেরেছেন, যা এতদিন ছিল সম্পূর্ণ অজানা। ‘এএনডব্লুজে’ হল রক্তের একটি বিরল গ্রুপ অ্যান্টিজেন। এটি প্রথম আবিষ্কৃত হয়েছিল ১৯৭২ সালে। তবে দীর্ঘদিন ধরে এর জেনেটিক ভিত্তিই অজানা ছিল। বিশ্বে প্রথমবারের মতো সেই রহস্যেরই সমাধান হল এবার।
প্রায় ২০ বছর ধরে এই প্রকল্পে কাজ করছেন এনএইচএসবিটি’র সিনিয়র বিজ্ঞানী ডঃ লুইস টিলি। তিনি জানান, এই আবিষ্কার বিরল রোগীদের আরও উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দিতে পারবে। শরীরে বিশেষ অ্যান্টিজেনের অভাবগ্রস্ত রোগীদের শনাক্ত করতে পারবেন বিজ্ঞানীরা।
কিন্তু এই অ্যান্টিজেনের অভাব থাকলে কী হতে পারে? ডঃ টিলি জানান, তার ফলে রক্ত সঞ্চালন করার সময় রোগীর মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। নতুন পরীক্ষা সেই ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে। রক্তের বিরল গ্রুপের দাতাদের সহজে খুঁজে পাওয়াও সম্ভব হবে।
এনএইচএসবিটি’র ল্যাবরেটরির প্রধান নিকোল থর্নটন বলেছেন, আমাদের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজগুলোর মধ্যে একটি ছিল ‘এএনডব্লুজে’ অ্যান্টিজেনের জেনেটিক ভিত্তি নির্ধারণ করা। এই পরীক্ষার মাধ্যমে এখন ‘এএনডব্লুজে’ নেগেটিভ রোগী ও দাতাদের শনাক্ত করা যাবে। তাঁদের অন্যান্য জেনোটাইপিং প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত করা যাবে। নতুন এই আবিষ্কার শুধু ব্রিটেন নয়, সারা বিশ্বের জন্যই একটি দারুণ সুখবর আনল বলে মনে করছেন গবেষক ও বিজ্ঞানীরা।