বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
আর জি করের তরুণী চিকিৎসকের দেহ দ্রুত ময়নাতদন্ত কেন করা হল এবং এর পিছনে কারা রয়েছেন, তা প্রথম থেকে জানার চেষ্টা করছে সিবিআই। নির্যাতিতার বাবা-মা বারবার অভিযোগ করে আসছেন, তাঁরা বারবার বলা সত্ত্বেও দেহ সংরক্ষণ করা হয়নি। এমনকী দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত করানোর কথা বললেও শোনা হয়নি। তাহলে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে সন্ধ্যায় ময়নাতদন্ত করার জন্য কে চাপ দিয়েছিলেন, এটাই খুঁজছিলেন তদন্তকারীরা। সেটি জানতেই রবিবার ময়নাতদন্তকারী টিমের সদস্য ডাঃ অপূর্ব বিশ্বাসকে ডেকে পাঠানো হয়। তিনি দুপুরে হাজির হন।
সূত্রের খবর, তিনি তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, সন্ধ্যায় তিনি ময়নাতদন্ত করতে রাজি ছিলেন না। স্পষ্ট বলে দেন, এতবড় ঘটনার ময়নাতদন্ত তাড়াহুড়ো করে করা যায় না। কিন্তু হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলেন, যেভাবেই হোক দেহ ময়নাতদন্ত করে ফেলতে হবে। এক্ষেত্রে ভারত সরকারের নির্দেশাবলীর কথা ওই চিকিৎসক জানালে সন্দীপ ঘোষ জানান, এই সমস্ত বিষয় তিনি বুঝে নেবেন। তাঁদের রীতিমতো প্রাণের ভয় দেখিয়ে ময়নাতদন্ত করানো হয়। শুধু তাই নয়, সন্দীপ নিজের মনোমতো রিপোর্ট তৈরির জন্য চাপ দেন। ভয় দেখিয়েছিলেন বিরুপাক্ষ অ্যান্ড কোম্পানি। এমনকী নির্যাতিতার ‘কাকু’ বলে পরিচয় দিয়ে একজন ফোন করেন তাঁকে। ওই ব্যক্তি জানান, ময়নাতদন্ত আজই না হলে রক্তগঙ্গা বইবে। ভয় দেখিয়ে তাড়াহুড়ো করে চাপ দিয়ে ময়নাতদন্ত করা হয়েছিল। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাইরে এসে তিনি সংবাদমাধ্যমকেও একথা জানিয়ে যান।
একইসঙ্গে মর্গে তরুণীর দেহ কাঁটাছেঁড়া করেছিলেন যাঁরা, তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হয় এদিন। কী কী নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন, কোথায় নমুনা রেখেছিলেন, এক্ষেত্রে সংরক্ষণের নিয়ম মানা হয়েছিল কি না, এই সংক্রান্ত বিষয় জানতে চাওয়া হয় বলে খবর।
এদিনও আর জি করে রেডিওলজিস্ট সৌরভ পাল ও সন্দীপ ঘনিষ্ঠ চিকিৎসক বিরুপাক্ষ বিশ্বাস সিবিআইয়ের নির্দেশমতো রবিবার সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেন। বিরুপাক্ষর কাছে জানতে চাওয়া হয়, তিনি কেন ওইদিন ঘটনাস্থলে এসেছিলেন? সন্দীপ ঘনিষ্ঠ ওই চিকিৎসক অফিসারদের জানিয়েছেন, পদাধিকারী হওয়ায় টিম নিয়ে তিনি এসেছিলেন। তথ্যপ্রমাণ লোপাট কোনও উদ্দেশ্য ছিল না। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বাইরে বেরিয়ে তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থেই ডাকা হয়েছিল। সহযোগিতা করেছি। ডাক্তার পালের কাছ থেকেও সেমিনার হলে উপস্থিতি ও খুনের ঘটনায় যোগের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয় বলে খবর।