হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
বারাসত জেলা হাসপাতাল মেডিক্যাল কলেজে উন্নীত হয়েছে। জেলা সদর শহরের এই হাসপাতালে প্রায় রোজই কয়েক হাজার মানুষ চিকিৎসা করাতে আসেন। পাশাপাশি মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আনা হয় এই হাসপাতালে। কিন্তু মাসতিনেক ধরে হাসপাতালের মর্গের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি এসি বিকল হয়ে পড়ে। অনেক বেওয়ারিশ দেহ এই মর্গে দীর্ঘদিন ধরে রাখা হয়েছে। কিন্তু এসি না চলায় তা থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। ফলে হাসপাতালের এই মর্গের সামনে দিয়ে যাতায়াত করা কার্যত দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারণ মানুষের। কখনও মুখে গামছা, আবার কখনও বা রুমাল চাপা দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এনিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন হুঁশ নেই বলে অভিযোগ। জেলা হাসপাতালে মর্গের পাশেই রয়েছে একাধিক জরুরি চিকিৎসা বিভাগ। দুর্গন্ধের ফলে সেই বিভাগগুলির কাজকর্মে প্রভাব পড়ছে। চিকিৎসা করাতে এসে নতুন করে অসুস্থ হয়ে পড়ার আশঙ্কাও করছেন কেউ কেউ।
হাসপাতালে আসা কাজি রহমান নামে এক ব্যক্তি বলেন, আমার এক আত্মীয়ের ময়নাতদন্ত করাতে গিয়েছিলাম বারাসত জেলা হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি দুর্গন্ধে থাকা দায়। পরে জানতে পারলাম দীর্ঘদিন ধরেই মর্গের এসি বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। সরকারি জেলা হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের মর্গের যদি এমন অবস্থা হয়, তাহলে ব্লক বা মহকুমা হাসপাতালের কেমন অবস্থা হতে পারে, তা বোঝাই যাচ্ছে। এছাড়া সুমিত্রা দে নামে আরেক মৃতের পরিবারের সদস্যা বলেন, মুখে ঢাকা না নিয়ে টেকা যাচ্ছে না হাসপাতালে মর্গের সামনে। কী কারণ জানি না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিষয়টিতে নজর দেওয়া দরকার। এই নিয়ে মর্গের এক কর্মী বলেন, তিনটি এসি রয়েছে মর্গে। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এসিটি বিকল হয়ে রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। তার ফলেই এমন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। দপ্তরকে এনিয়ে বলা হয়েছিল। কিন্তু সারাইয়ের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এটি চালু না হলে আগামী দিনে আরও দুর্গন্ধ বাড়বে। পাশাপাশি মর্গের আরও বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে, যেগুলির সমাধানেরও প্রয়োজন। এ নিয়ে বারাসত জেলা হাসপাতালের সুপার সুব্রত মণ্ডলকে একাধিকবার ফোন করা হয়। তাঁর ফোন বন্ধ ছিল।