হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
ছোট শিল্পের টিকে থাকার অন্যতম শর্ত সুষ্ঠু বিপণন। অর্থাৎ, অল্প পুঁজির ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলিকে প্রতিযোগিতার বাজারে তাদের মাল বিক্রি করতে হবে। সেই কাজ সহজ করতে এগিয়ে আসে সরকার। নিয়ম হয়, কেন্দ্র হোক বা রাজ্য, যারাই কোনও পণ্য কিনবে, তার একটি অংশ বাধ্যতামূলকভাবে কিনতে হবে ছোট শিল্প সংস্থাগুলির থেকে। নিলামের মাধ্যমেই সেই পণ্য কিনে থাকে তারা। কিন্তু গোল বাধে পেমেন্ট নিয়ে। বহু ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বিভিন্ন রাজ্য সরকার হোক বা কেন্দ্র, নানা অজুহাতে তারা আটকে দেয় পেমেন্ট। তার ফলে নতুন করে লগ্নিতে টান পড়ে ছোট সংস্থাগুলির। কমতে থাকে কার্যকরী মূলধন। কখনও কখনও দেখা যায়, সরকারের তরফে পেমেন্ট আটকে আছে এক বছরেরও বেশি। খোদ সরকার বাহাদুরই যদি ছোট শিল্পের পাওনা মেটাতে টালবাহানা করে, তাহলে তার সুরাহা করবে কে?
এই সমস্যার মোকাবিলায় দেশে চালু হয়েছে ‘সমাধান’ পোর্টাল। সময়ে পেমেন্ট না মিললে এখানে আবেদন করতে পারে এমএসএমই সংস্থাগুলি। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা বা ব্যক্তিগত কারও বিরুদ্ধেও আবেদন করা যায় ‘সমাধানে’।
দেখা যাচ্ছে, কেন্দ্রের তরফে ছোট শিল্পগুলিকে বঞ্চনায় সবচেয়ে এগিয়ে কেন্দ্রীয় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলিই। দীর্ঘ সময় ধরে তারা প্রায় ২ হাজার ২০০টি সংস্থার ২ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা আটকে রেখেছে। বিভিন্ন মন্ত্রকের তরফে আটকে রাখা হয়েছে ২৮৩ কোটি টাকা। তা পায়নি চারশোর বেশি সংস্থা। মন্ত্রকের আওতায় থাকা বিভিন্ন দপ্তর আটশোর বেশি সংস্থায় মেটায়নি ৪০০ কোটি টাকার বেশি বকেয়া। পিছিয়ে নেই রেলও। জানা গিয়েছে, ৩৬৮টি সংস্থায় তারা প্রায় ১০০ কোটি টাকার বিল মেটাচ্ছে না।