হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
হুগলির বাঁশবেড়িয়ার বাসিন্দা বিজেপির ওসিসি মোর্চার পদাধিকারী বিষ্ণুবাবুর দাবি, ভোট মরশুমে দলের নেতৃত্ব দুর্নীতি নিয়ে পদক্ষেপ করার আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু ভোট মিটে যাওয়ার পর তাঁরা আরও কোনও পদক্ষেপ করছে না। উল্টে মামলা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিষ্ণুবাবু বলেন, আমি নিজে বিজেপি করি। কিন্তু নেতৃত্বের ভূমিকা পছন্দ হচ্ছে না। আধা সামরিক বাহিনীর মতো জায়গায় দুর্নীতি হয়েছে। তা নিয়ে নেতাদের কোনও পদক্ষেপ নেই। তাঁরা আবার অন্যের দুর্নীতি নিয়ে মুখর হচ্ছেন। এর থেকেই স্পষ্ট, নেতৃত্ব নীতিহীনতায় ভুগছে। স্বচ্ছতার কোনও জায়গা বিজেপিতে নেই। আগামী ২৪ জুন আধা সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ মামলার শুনানি হবে। আমি আদালতকে সবটা জানাব।
বিজেপি’র হুগলি সাংগঠনিক জেলার এসসি মোর্চার সভাপতি নীহার মণ্ডল, বিষ্ণুবাবুকে ভোট চলাকালীন ওই চিঠির ব্যাপারে নীরব থাকতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে ওই ব্যক্তি হুগলি জেলায় ভোটের কিছুদিন আগে তৃণমূলে যোগ দেন। তিনি বলেন, সেই সময় রাজ্য নেতৃত্ব বিষ্ণুবাবুর মামলা নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন। ভোটের মুখে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা ছিল। তাই তাঁদের নির্দেশে আমি বিষ্ণুবাবুকে চিঠি দিয়েছিলাম। এ নিয়ে এখন আমার কিছু বলার নেই। বিজেপি’র হুগলি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তুষার মজুমদার বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। রাজ্যের শাসকদলের হুগলি জেলার সহ সভাপতি ও বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, সন্দেশখালি থেকে শিক্ষক নিয়োগ মামলা— সবেতেই বিজেপি’র মুখোশ খুলে গিয়েছে। নিয়োগ মামলার বিচারক বিজেপি’র প্রার্থী হচ্ছেন, সন্দেশখালিতে টাকা দিয়ে সাক্ষী তৈরি করা হচ্ছে। উল্টো দিকে কেন্দ্রীয় সরকারের আধা সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ নিয়ে মামলা করায় বিজেপি নেতাকেই হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে। দলের স্বচ্ছতা নিয়েই এখন প্রশ্ন উঠছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে বাঁশবেড়িয়ার বাসিন্দা বিষ্ণুবাবু আধা সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ নিয়ে মামলা করেছিলেন। বিষ্ণুবাবু জানিয়েছেন, কলকাতা হাইকোর্টের সেই মামলায় বিচারক সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। সেই মামলা এখনও চলছে। তারই মধ্যে বিজেপি’র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ বিজেপি নেতা।