মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
একদিকে সোনারপুর স্পোর্টিং ইউনিয়ন, আর অন্যদিকে বারো ভূতের মেলার মাঠ। কানায় কানায় ঠাসা সভায় মানুষের উচ্ছ্বাস দেখে মমতা বলেন, ‘এ শুধু বাংলাতেই সম্ভব। এখানে মানুষ দেশের স্বৈরতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে গর্জন তুলতে ঝড়-ঝাপ্টাকেও তোয়াক্কা করে না। তাই ওদের বিদায় নিশ্চিত। মোদি যাবে, কিন্তু দেশ থাকবে। মোদি যাবে, আর মানুষ বাঁচবে।’
যাদবপুর কেন্দ্রের ভোট ১ জুন। তার তিন দিনের মাথায় ফল ঘোষণা। ফলাফলের দিন যত এগিয়ে আসছে, মোদির বিরুদ্ধে গর্জন আরও তীব্র করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিএএ থেকে বেকারত্ব—‘জনবিরোধী’ সব নীতিতেই গেরুয়া শিবিরকে কোণঠাসা করতে ছাড়ছেন না বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, ‘ইন্ডিয়া’ ক্ষমতায় এসেই সবার আগে বাংলার প্রাপ্য ১০০ দিনের কাজের টাকার ব্যবস্থা করবে।
এদিন মমতা বলেন, ‘যাদবপুরের মানুষ আমাকে কখনও নিরাশ করেননি। আমি জানি, এবারও করবেন না। তবে এখানে কিছু দুষ্টু লোক আছে। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর জন্যই মিমি চক্রবর্তীর জায়গায় লড়াকু সায়নীকে দাঁড় করিয়েছি।’ তবে এবার তাঁর লড়াই যে সরাসরি নরেন্দ্র মোদিকে গদিচ্যুত করার লক্ষ্যে, সে কথা বারবার উঠে এসেছে তাঁর ভাষণে। মানুষকে সাক্ষী রেখে এদিন মমতার প্রত্যয়ী বার্তা, ‘চিন্তা করবেন না। ওরা (বিজেপি) আর আসছে না। মোদি হারাতঙ্ক রোগে ভুগছেন। ক্ষমতায় আসবে ইন্ডিয়াই।’ মোদিকে তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘লাঠি, গুলি, হার্মাদদের সঙ্গে লড়াই করে ৩৪ বছরের বাম সরকারকে উৎখাত করেছি। আর মনে রাখবেন আপনাকেও রাজনৈতিকভাবে উপড়ে দেব। এই শপথ নিলাম।’