মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
এদিকে, রেমাল নিয়ে আম জনতার মধ্যে তীব্র ভীতি কাজ করছে। এদিন সকালে হুগলির একাধিক বাজারে অন্যান্য রবিবারের তুলনায় বেশি ভিড় দেখা গিয়েছে। বাড়তি খাবার মজুত করার তাগিদেই এই ভিড়। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের আশঙ্কায় পাড়ার দোকান থেকে প্রচুর মোমবাতি কিনতে শুরু করেছেন বাসিন্দারা। তার জেরে প্রমাণ আকারের মোমবাতি বাজার থেকে উধাও হয়ে গিয়েছে। একদিকে প্রস্তুতি, অন্যদিকে উদ্বেগ, রেমালকে কেন্দ্র করে এমনই চিত্র হুগলির বিভিন্ন জনপদে দিনভর দেখা গিয়েছে। হুগলি জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিক মাসিদুর রহমান বলেন, আমরা যাবতীয় প্রস্তুতি নিয়েছি।
জেলা থেকে ব্লক, পুরসভা সর্বত্র বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি দপ্তর যেমন বিদ্যুৎ, পিএইচই, স্বাস্থ্য, পুলিস— তারাও পৃথক টিম তৈরি করেছে। কেন্দ্রীয়ভাবে সমস্ত বিষয় নজরদারির পাশাপাশি স্থানীয়স্তরেও মানুষকে সাহায্য করতে আমাদের দল তৈরি থাকবে। যে কোনও সমস্যা আমরা মোকাবিলা করতে পারব প্রস্তুত। জেলার গঙ্গা লাগোয়া এলাকাগুলিতে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের তরফে কেন্দ্রীয়ভাবে দু’টি হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। সেগুলি হল, ০৩৩-২৬৮১২৬৫২ এবং ৮১০০১০৬০৪১।
চুঁচুড়ার গৃহবধূ মিতালি দাস বলেন, প্রতি রবিবারই বাজারে প্রচুর ভিড় হয়। কিন্তু এই রবিবার রবীন্দ্রনগরের পাইকারি বাজারে তুলনায় বেশি ভিড় হয়েছিল। বাড়তি খাদ্যসামগ্রী মজুত করার তাগিদেই এই ভিড়। হুগলি স্টেশনের চা দোকানি সঞ্চয় সানা বলেন, স্টেশন বাজারে এদিন দুপুরে প্রমাণ আকারের মোমবাতি পাওয়া যায়নি। দোকানিরা জানিয়েছেন, সকাল থেকেই বাসিন্দারা প্রচুর সংখ্যায় মোমবাতি কিনেছেন। সেকারণেই মোমবাতির আকাল দেখা দিয়েছে। সিঙ্গুরের কৃষক পিন্টু বাগ বলেন, কৃষিদপ্তর মাইকিং করেছে। কিন্তু মাঠে কাঁচা বাদাম আছে। তা ঘরে তুললেও ক্ষতি, মাঠে রাখলেও ক্ষতি। কী করব, বুঝতে পারছি না।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, আপৎকালীন পরিস্থিতিতে মূলত মানুষের জীবন রক্ষার উপর বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে। সেকারণে যাঁরা গাছ কাটতে পারেন, সেই সব মানুষদের নিয়ে বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে। বেশ কিছু মানুষকে সেফ হাউসে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গোটা জেলায় ২৬টি সেফ হাউস তৈরি করা হয়েছে।