মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
জানুয়ারির শেষ থেকে রাজ্য-রাজনীতিতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু সন্দেশখালি। ভেড়ি দখল, ১০০ দিনের বকেয়া কাজের টাকা না-দেওয়া থেকে শুরু করে তৃণমূল নেতাদের নামে ভূরি ভূরি অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। এরপর দলীয়ভাবেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয় তৃণমূল নেতৃত্ব। আর এই সন্দেশখালি থেকেই রেখা পাত্রকে বসিরহাটের প্রার্থী করেছে বিজেপি। এনিয়ে প্রথমে বিজেপির অন্দরে ফাটল দেখা দেয়। আর তারই প্রেক্ষিতে ৪ মে সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপির ‘চক্রান্ত’ ফাঁস করে তৃণমূল। সন্দেশখালি-২ বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গঙ্গাধর কয়ালের একটি ভিডিও ভাইরাল করে তারা, যেখানে গঙ্গাধরকে টাকার বিনিময়ে আন্দোলন বাড়িয়ে যাওয়ার কথা বলতে শোনা যায়। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি ‘বর্তমান’।
রবিবার বাদুড়িয়ার সভামঞ্চে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে ভোটপ্রচারে এসে সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপিকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানান অভিষেক। তিনি বলেন, ৪ জুন নয়, বসিরহাটে ৪ মে তারিখেই বিজেপির পরাজয় হয়ে গিয়েছে। সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপির চক্রান্ত ফাঁস করে দিয়েছে ওদেরই নেতা গঙ্গাধর। তাই বিজেপির প্রার্থী রেখা পাত্র ভোটপ্রচারে এলে মূলত দুটি প্রশ্ন জানতে চাইবেন। এক, সন্দেশখালি নিয়ে বিজেপির অবস্থান কী? দুই, বিজেপিরই এক নেত্রী লক্ষীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে চাইছে, সেক্ষেত্রেও বিজেপির অবস্থান কী? কোনও উত্তর দিতে পারবে না ওরা। এই দুই প্রশ্নেই কুপকাত হবে বিজেপি। বাকি সব প্রশ্ন ছেড়েই দিন।
এরপর বিজেপির বিরুদ্ধে ধিক্কার জানিয়ে অভিষেকের দাবি, বিজেপি রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতে বিভিন্ন খারাপ কাজ করে শুনেছি। কিন্তু সন্দেশখালি নিয়ে যা করল, তা চোখে দেখলাম। তাই স্পষ্ট হল ওদের কীর্তি। গত দশবছরে কেন্দ্রে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। বসিরহাটের মানুষের জন্য কী করছে ওঁরা, বলতে পারবে না। বিজেপি প্রার্থীর কাছে অভিষেকের দাবি, রিপোর্ট কার্ড নিয়ে মোদির সঙ্গে এক জায়গায় আলোচনার ব্যবস্থা করুন। তাহলেই ওদের ভোকাট্টা করে দেব। সব শেষে অভিষেক বললেন, আগামী ৪ তারিখের পর আমি আবার আসব এখানকার মানুষের সঙ্গে দেখা করতে। নিজস্ব চিত্র