মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
আইলার সময় আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা ছিলেন জি সি দেবনাথ। রবিবার তিনি বলেন, ‘সামান্যই পার্থক্য রয়েছে দু’টি ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে। আইলার কেন্দ্রটি দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকা দিয়ে স্থলভূমিতে প্রবেশ করেছিল। রেমালের যে সম্ভাব্য গতিপথ এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত জানা গিয়েছে, তাতে এর কেন্দ্রস্থল বাংলাদেশের মংলা বন্দরের আশপাশ দিয়ে স্থলভূমিতে ঢুকবে বলে জানানো হয়েছে। স্থলভূমিতে ঢোকার পর রেমালের মূল অংশ বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, খুলনা প্রভৃতি জেলার উপর দিয়ে গিয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতের দিকে অগ্রসর হবে। কিন্তু আইলার ক্ষেত্রে ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়ে মালদহ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছিল। তারপর সেটি চলে গিয়েছিল উত্তর-পূর্ব ভারতের দিকে। এই গতিপথের মধ্যেই পড়েছিল কলকাতা শহর। তাই ঝড়ের দাপটে লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল মহানগরী।’ আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাসও জানিয়েছেন আইলা ও রেমালের গতিপ্রকৃতি একরকম। মংলা বন্দর পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের থেকে খুব দূরে নয়। ফলে শেষ পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের ভৌগোলিক সীমার মধ্যেই রেমালের কেন্দ্রস্থল উপকূল অতিক্রম করতেই পারে। তবে আইলা যেমন পুরোপুরি গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে গিয়েছিল, রেমালের ক্ষেত্রে তা হবে না।
আইলায় কলকাতায় ঝোড়ো হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১৪ কিলোমিটার। এতটা না হলেও রেমালে শহরে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার গতিতে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এই ধরনের শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সিস্টেমের কেন্দ্রস্থল ১০০, এমনকী কখনও কখনও ১৫০ কিলোমিটার জুড়ে থাকে। ফলে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের বড় অংশে এর সরাসরি প্রভাব পড়বে। স্থলভূমিতে ঢোকার পর ঘূর্ণিঝড় সাধরণত দুর্বল হতে শুরু করে। কিন্তু এর প্রভাবে ঝোড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টির দাপট চলতে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।