মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন মমতা বলেন, নির্বাচন চলাকালে আমরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। কিছু দুষ্টু লোক উদ্বাস্তু এলাকায় নোটিস দিয়ে এক, দুই, তিন, চার তলার বাড়ি নির্মাণ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। ভোট মিটলেই এই অর্ডার বাতিল করা হবে। মনে রাখবেন, এসব সিদ্ধান্ত নিতে গেলে আমার সঙ্গে কথা বলতে হয়। ববি (পড়ুন ফিরহাদ হাকিম) কলকাতার মেয়র। কিন্তু এটা ও জানে না। এটা কলকাতা পুরসভার বিষয় নয়, বিষয়টি রাজ্য ভূমিসংস্কার দপ্তরের বিষয়, যে দপ্তর আমি নিজে দেখি। আপনাদের ভয় পাওয়ার কিচ্ছু নেই। তাঁর আরও সংযোজন, হার্মাদ সিপিএম এবং বিজেপির অফিসাররা এসব নোটিস পাঠিয়েছে। ওই নোটিসের পাল্টা কীভাবে দিতে হয়, তা আমি জানি।
মমতার এই ঘোষণার পর দুশ্চিন্তা কেটেছে বহু মানুষের। স্বাভাবিকভাবেই মমতার এই মন্তব্যে হাততালির ঝড় ওঠে। শঙ্খ এবং উলুধ্বনি শুরু হয় সভাস্থলে। তবে যাঁরা বাড়ি বানাচ্ছেন বা বানাবেন তাঁদেরকেও সতর্ক করেছেন মমতা—যাঁরা বাড়ি বানাচ্ছেন তাঁদের বলব দেখে নেবেন, আপনি যে বাড়িটা বানাচ্ছেন সেটা যেন অন্যের ক্ষতির কারণ না-হয়ে দাঁড়ায়। আপনার বাড়ির জন্য নিজের বা অন্য কারও কোনও বিপদ হয়ে গেল, সেটা যেন না-হয়। আপনারা সবাই পাট্টা পাবেন। কিন্তু, বাড়ি তৈরির সময় একটু প্ল্যানিং করে নেবেন, যাতে সেটা ভেঙে না-পড়ে। তেমন হলে অনেকে মারা যাবেন কিন্তু! প্রসঙ্গত, টালিগঞ্জ, বাঘাযতীন, যাদবপুর প্রভৃতি অঞ্চলে বহু কলোনি এলাকায় অবৈধ নির্মাণ নিয়ে একের পর এক নোটিস পাঠিয়েছে কলকাতা পুরসভা। স্বাভাবিকভাবেই বাসিন্দাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে আতঙ্ক। শহরে এমন বহু জমি রয়েছে, যেগুলি ভূমিসংস্কার দপ্তরের আওতাভুক্ত। কিন্তু সেসব জায়গায় তৈরি হয়েছে একের পর এক কলোনি। ৩০-৪০ বছর ধরে এখানেই চলছে বসবাস। সেসব জমিতে এখন নতুন করে বাড়ি তৈরির কাজ আইনি জটিলতায় আটকে যাচ্ছে। সেগুলি অবৈধ নির্মাণ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। শুধু কলকাতা নয়, সমস্যাটি রয়েছে রাজ্যের অন্যান্য পুর এলাকাতেও। সূত্রের খবর, সেসব সমস্যা দূর করা নিয়েও চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।