মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
শনিবার হাড়োয়ায় বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুলের সমর্থনে নির্বাচনী সভা করেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করে বাদুড়িয়ায় জনসভা করেন দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। কলকাতা থেকে সড়কপথে তিনি হাজির হন সেখানে। এদিন তাঁর বক্তব্যের আগাগোড়াই ছিল বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষুরধার আক্রমণ। ছত্রে ছত্রে তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাস্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে কটাক্ষ ছুড়ে দেন। বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থীকে সাড়ে তিন লক্ষ ভোটে জেতানোর লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘বিজেপি ভোটে গণতান্ত্রিকভাবে লড়তে পারছে না। উন্নয়নের কোনও পরিসংখ্যান নেই। তাই ওরা বলছে, বাংলায় ৩৫টি আসন পেলে সরকার ফেলে দেবে। আসলে সরকার ফেলে বাংলা দখল করতে চাইছে বিজেপি।’ জমায়েত থেকে স্বতঃস্ফূর্ত স্লোগান ওঠে, ‘বিজেপি হটাও, দেশ বাঁচাও’। অভিষেক দাবি করেন, রান্নার গ্যাসের দাম থেকে ওষুধের দাম সবই বেড়েছে বিজেপি সরকারের সৌজন্যে। আরও বলেন, ‘বাংলায় ১০০ দিনের কাজের টাকা দেয়নি ওরা, কিন্তু মা-মাটি-মানুষের সরকার দিয়েছে। আবাসের টাকাও দেয়নি।’ এরপরই তিনি ১ জুন ভোটে ইভিএমের বোতাম টিপে বিজেপিকে ‘যোগ্য জবাব’ দেওয়ার আহ্বান জানান।
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’-এ দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ‘বসিরহাটের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে। তাই আগামী ২৪ ঘণ্টা রাজনৈতিক কর্মসূচি সম্পূর্ণ বন্ধ। মানুষের প্রাণহানি ঠেকাতে জীবন বাজি রেখে লড়তে হবে কর্মীদের। কারণ, মানুষের কষ্টের সময় তৃণমূল সবসময় পাশে থেকেছে।’