মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের হার বরাবরই উপরের দিকে থাকে। ফলে মানুষকে বুথমুখী করতে নির্বাচন কমিশনকে আলাদাভাবে কসরত করতে হয় না। কিন্তু এবারের নির্বাচনে প্রথম দফায় পর থেকেই ভোটের হার নিয়ে বিশেষ চিন্তায় পড়েছিল কমিশন। এমনকী, প্রথম তিনটি দফার পর, বিশেষত এনিয়ে নিয়ে আলাদা করে বৈঠকেও বসতে হয়েছে তাদের। ষষ্ঠ দফায় শেষ পর্যন্ত স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন কমিশন কর্তারা। যদিও উনিশের লোকসভা এবং একুশের বিধানসভা নির্বাচনের নিরিখে ষষ্ঠ দফার আটটি কেন্দ্রে এবার কিছুটা হলেও কম ভোট পড়েছে। ওই দু’বছর এই আটটি কেন্দ্রে ভোটের হার ছিল যথাক্রমে ৮৪.৩৬ ও ৮৫.৯৬ শতাংশ।
এবারে নির্বাচনে প্রথম থেকেই ভোটের হার তুলনামূলকভাবে সন্তোষজনক ছিল না। পাঁচটি দফায় ভোটের হার কখনও বেড়েছে আবার কখনও কমেছে। প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের তিনটি আসনে ভোটের হার ছিল সাকুল্যে ৮১.৯১ শতাংশ। দ্বিতীয় দফায় তা কমে হয় ৭৬.৫৮ শতাংশ। তৃতীয় দফায় ভোটের হার সন্তোষজনক ছিল না। ওই দফার চার আসনে প্রদত্ত ভোটের সর্বমোট হার ছিল ৭৭.৫৩ শতাংশ। চতুর্থ দফায় আবার ভোটের হার কিছুটা বৃদ্ধি পায়। ওই দফায় মোট আটটি আসনে ভোট পড়ে ৮০.২২ শতাংশ। পঞ্চম দফায় আবার ভোটের হার কমে যায়। ওই দফায় দক্ষিণবঙ্গের মোট সাতটি আসনে সর্বসাকুল্যে ভোট পড়ে ৭৮.৪৫ শতাংশ। এই পরিসংখ্যানের নিরিখে ষষ্ঠ দফার ভোটের হার যথেষ্ট ভালো বলেই মনে করছে কমিশন। তবে সপ্তম তথা শেষ দফার ভোটের হার নিয়ে এখনও চিন্তায় রয়েছে কমিশন। কারণ এই দফায় ভোট রয়েছে কলকাতা উত্তর আসনেও। কলকাতা উত্তরে ভোটের হার বরাবরই কম থাকে। তাই এবার এই আসনে ভোটের হার বাড়াতে রীতিমতো প্রথম থেকেই মাঠে নেমেছে কমিশন। এবার আদৌ কলকাতা উত্তর ভোটের হার বাড়ে কি না তার উত্তর মিলবে ১ জুন।