মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
বিকেল সাড়ে ৪টায় হাড়োয়া থেকে সল্টলেকের বিএস-সিএফ মাঠে নামেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর শুরু হয় পদযাত্রা। সল্টলেকের বৈশাখী হয়ে কোয়ালিটি মোড়, বিডি, পিএনবি মোড় হয়ে সল্টলেক ২ নম্বর গেটে শেষ হয় পদযাত্রা। বারাসত লোকসভার তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ডাঃ কাকলি ঘোষদস্তিদারের সমর্থনে ছিল এই পদযাত্রা। দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে মন্ত্রী সুজিত বসু, বিধাননগরের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়, বিধাননগরের চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত সহ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে পদযাত্রা শুরু হলেও দুপুর থেকেই কর্মী, সমর্থক ও সাধারণ মানুষ বৈশাখী মোড়ে হাজির হয়েছিলেন। বর্ণাঢ্য এই পদযাত্রায় শোভা বাড়িয়েছে ডান্ডিয়া নৃত্য ও ঝুমুর নাচ। পদযাত্রা শুরু হতেই রাস্তাজুড়ে শুধু কালো মাথা। পিলপিল করছে মানুষ। সামনে, পিছনে, দু’ধারে একই চিত্র। বাড়ি, আবাসন থেকেই মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে সকলেই অপেক্ষায় ছিলেন। কেউ দাঁড়িয়েছিলেন বাড়ির সামনে, কেউ ছাদের উপরে। কেউ আবার পোষ্য সহ সপরিবারে বারান্দায়। রাস্তার উপরে দোকানপাটে বিক্রিবাটা সাময়িক বন্ধ। কর্মীরাও মোবাইল হাতে নিয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে দেখার জন্য। যাঁরাই ‘দিদি’ বলে ডেকেছেন কিংবা বাড়ির উপর থেকে হাত নেড়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের সবার দিকে তাকিয়েছেন হাসিমুখে। পদযাত্রার মাঝেই অবাঙালি সম্প্রদায়ের তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগতও জানানো হয়। ২ নম্বর গেটে ডান্ডিয়া নৃত্যে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী। হাতে ফুটবল নিয়ে একদল ছাত্রী ও কিশোরী হাজির হয়েছিলেন। তাদের সঙ্গে বল নিয়েও খেলা করেন তিনি। এমনকী ঝুমুর নাচের সঙ্গে পা মিলিয়ে মাদলও বাজান মুখ্যমন্ত্রী। সব মিলিয়ে সল্টলেকের বাসিন্দারাই বললেন, এইরকম জনপ্লাবন আগে কখনও হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জনজোয়ারে ভেসেছে গোটা সল্টলেক।