মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, নিকাশি দপ্তর ছাড়াও উদ্যান, বিদ্যুৎ ও জঞ্জাল অপসারণ দপ্তরকে আগেভাগে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। গাছ ভেঙে পড়লে তা দ্রুত সরাতে বরোভিত্তিক দল গড়া হয়েছে। শনিবার থেকেই কর্মী আধিকারিকদের চালু হয়েছে ২৪ ঘণ্টার ডিউটি সিডিউল। ২৪ ঘণ্টা চালু থাকবে পুরসভার কন্ট্রোল রুম। পুরসভার এক শীর্ষকর্তা বলেন, আমরা নিজস্ব বাতিস্তম্ভগুলি খতিয়ে দেখেছি। সিইএসসিকেও সতর্ক থাকতে হবে। নির্বাচন চলছে। তাই সব দিক থেকে ‘ফুল প্রুফ’ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পুর এলাকায় ৭৬টি পাম্পিং স্টেশন রয়েছে। ৩৯২টি পাম্প বর্তমানে সক্রিয়। সমস্ত পাম্প চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরেও শহরে যে সমস্ত অঞ্চলে জল জমে, সেখানে বাড়তি অস্থায়ী পাম্প রাখা হচ্ছে। শহরের বিভিন্ন গালিপিটে যাতে আবর্জনা জমে না থাকে, সেই বিষয়েও জঞ্জাল অপসারণ বিভাগকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
কলকাতার পাশাপাশি ঝড়বৃষ্টির ব্যাপক প্রভাব পড়তে চলেছে হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায়। শনিবার থেকে হুগলির সবক’টি ঘাটের ফেরি পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ থেকে হাওড়া ও উত্তর ২৪ পরগনাতে পরিষেবা বন্ধ হচ্ছে। প্রয়োজন বুঝে প্রশাসনের তরফে তা চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। উলুবেড়িয়ার নদী তীরবর্তী এলাকায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। শুরু হয়েছে মাইকিং। অন্যদিকে, উলুবেড়িয়াতে সিভিল ডিফেন্সকে তৈরি রাখা হয়েছে। বিভিন্ন ব্লকে ত্রিপল, শুকনো খাবার ও পানীয় জল মজুত করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের নদীতে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। হুগলিতেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে সেফ হাউস।
অন্যদিকে, ঘুর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মোকাবিলায় বারাকপুর মহকুমার সব পুরসভা বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করল। পুরসভাগুলিতে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। ছুটি বাতিল করা হয়েছে পুরসভার জরুরি বিভাগের কর্মীদের। জল, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ সহ প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীদের। পুরসভাগুলিতে ২৪ ঘণ্টা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। কল্যাণীতে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম, হেল্পলাইন নম্বর (৭৯৮০৮৫৩০৩৪)। নির্বাচনী আবহে সাইক্লোন মোকাবিলায় প্রস্তুত ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’রা। নির্বাচনী কার্যক্রমের মধ্যেই ত্রাণ সামগ্রী মজুত করতে ব্যস্ত বাম কর্মী-সমর্থকরা। একইসঙ্গে, আলিয়া বিশ্ববিদালয়ের এসএফআই ইউনিটের তরফে তাদের দু’টি ক্যাম্পাস ভবনকে ‘শেল্টার’ হিসেবে ব্যবহার করার কথা জানানো হয়েছে। সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে শিক্ষক সংগঠনও। মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে শিক্ষকরা জানিয়েছেন, ঝড়ের মোকাবিলায় তাঁরা সর্বতোভাবে প্রস্তুত।