গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
বিজেপি’র রাজ্য নেতা স্বপন পাল বলেন, নির্বাচন পরিকল্পনার ক্ষেত্রে একা কোনও ব্যক্তিকে দোষারোপ করা অর্থহীন। দলের নির্দেশেই আমাদের প্রার্থী ধনেখালিতে বাড়তি সময় দিয়েছেন। তা দলের উপকারেই লেগেছে। নির্দল প্রার্থীদের সঙ্গে বিজেপি’র কোনও সম্পর্ক ছিল না। তাই তাঁদের ভূমিকার ব্যাখ্যা বিজেপি’র পক্ষে দেওয়া সম্ভব নয়। দলের এক দাপুটে নেতা বলেন, কে জিতবেন, কে হারবেন সেটা পরের কথা। বাস্তবে সংগঠিত তৃণমূলের সঙ্গে অসংগঠিত বিজেপি’র লড়াই হয়েছে। এই অবস্থায় একটি বিধানসভা এলাকায় ঘাঁটি গেড়ে থাকলে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যায় না। ভোট পরিচালকরা দলীয় এজেন্টদের তুলনায় বেশি করে নির্দল প্রার্থীর এজেন্টদের উপর ভরসা করেছিলেন। বাস্তবে সেই কৌশল মাঠে মারা গিয়েছে। সবাই তা জানেন। আমাদের প্রার্থী জিতবেন, এটাই প্রত্যাশা। কিন্তু ভোট পরিচালনায় বহু ত্রুটি ছিল, তা মানতে হবে নেতৃত্বকে। এনিয়ে নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ রয়েছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা বলেন, বিজেপি প্রার্থী ধনেখালিতে ঘাঁটি করে থাকায় আমাদের সুবিধাই হয়েছে। এমন নয় যে, আমরা কোনও অন্যায় সুযোগ নিয়েছি। তবে ভোটের দিন প্রার্থীর উপস্থিতি ভোটারদের মধ্যে একটা প্রভাব ফেলে। এমনিতেই গত পাঁচবছর ভোটাররা তাঁকে দেখতে পাননি। তা নিয়ে একটা অসন্তোষ ছিলই। ভোটের ফল কী হবে, সেটা ভিন্ন প্রশ্ন। কিন্তু বিরোধী প্রার্থীকে একটা বিধানসভায় আটকে রাখাকে এক রকম সাফল্য বলেই মনে করছে তৃণমূল শিবির।
বিজেপি’র অন্দরমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলে নির্বাচন কমিটি থাকলেও আদতে লকেটই ছিলেন সর্বেসর্বা। তাঁর নানা সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রচারপর্বে বারবার ক্ষোভ-বিক্ষোভের বিস্ফোরণ হয়েছে। তাঁর প্রার্থীপদ নিয়ে দলের বড় অংশের অসন্তোষও সুপরিচিত ঘটনা। কিন্তু তারপরও বিজেপি কর্মীদের বড় অংশ ভোটের ময়দানে ছিলেন। তাঁদেরই একটি অংশ ভোটের দিন দলীয় রণকৌশল নিয়ে ক্ষুব্ধ। ভোট মিটতেই হুগলির বিভিন্ন এলাকা থেকে সেই চাপা ক্ষোভের সুর নেতৃত্বের কাছে এসে পৌঁছতে শুরু করেছে।