গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
সবচেয়ে বড় কথা, দলের অন্দরের সমীক্ষায় এখনও পর্যন্ত শুধু ফাটলই চোখে পড়েছে। তা ধসের আকার নিয়েছে কি না, তা নেতৃত্ব এখনও ঠাহর করতে পারেনি। তবে দলের মহিলাদের একাংশ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে ‘কৃতজ্ঞতা’ প্রকাশ করায় চমকে গিয়েছেন গেরুয়া শিবিরের নেতারা। একান্ত আলোচনায় বিজেপি’র অনেক নেতাই তা স্বীকার করছেন। যদিও বিজেপি’র রাজ্য নেতা স্বপন পাল বলেন, সরকারি প্রকল্প যে কোনও নির্বাচনেই সুবিধা দেয়। আমাদেরও অনেক প্রকল্প আছে, তার সুবিধা আমরা পাব। তবে যে সব মহিলা বিজেপি’র একনিষ্ঠ সমর্থক, তাঁদের ভোট তৃণমূলে চলে গিয়েছে, এমন কথা অবাস্তব। কোথাও দু’-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে গোটা লোকসভা কেন্দ্রের মহিলা ভোটব্যাঙ্কের উপর আরোপ করা ঠিক নয়। এবার মানুষ, মোদিজিকে দেখে ভোট দিয়েছেন। তাই বিজেপি’র জয় কোনও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারই রুখতে পারবে না।
তৃণমূলের হুগলি জেলার সহ সভাপতি তথা চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, বিজেপি’র অন্দরে কী সমীক্ষা হয়েছে, তা আমি জানি না। তবে ভোটের প্রচার পর্বে দেখেছি, মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে দিদির (মমতা) জয়গান করছেন। তাঁদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন এসেছে। বাংলার যুগান্তকারী প্রকল্পের গুরুত্ব যে শুধু ভোটকেন্দ্রিক নয়, মহিলারা সেটা বুঝেছেন। সেই কারণেই তাঁরা আমাদের পাশে রয়েছেন। যাতে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আরও আর্থ-সামাজিক বিপ্লব ঘটানোর মতো প্রকল্প চালু করার শক্তি পান। সিপিএমের অন্দরে এখনও কোনও সমীক্ষা সেভাবে হয়নি। তবে সিপিএম নেতা তথা হুগলির বামপ্রার্থী মনোদীপ ঘোষ বলেন, ব্যক্তিগত সুবিধা ও উপভোক্তা গোষ্ঠী তৈরি করতে পারলে শাসকদল তার সুবিধা পায়। ফলে, তৃণমূল লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সুবিধা পেতেই পারে, তা অস্বাভাবিক কিছু নয়। সোমবার রাত থেকেই ভোটের হিসেব নেওয়ার কাজ শুরু করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। সেখান থেকেই উঠে আসছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের কারণে মহিলারা মুখ ফিরিয়েছেন বিজেপি’র থেকে। দলের এক জেলাস্তরের নেতা বলেন, একাধিক অঞ্চল থেকে মহিলা ভোট কম পাওয়ার তথ্য এসেছে। তবে সবচেয়ে আশ্চর্য যে, গত লোকসভা নির্বাচনে যাঁরা আমাদের ভোট দিয়েছেন, এমন মহিলা ভোটাররা এবার তৃণমূলকে ভোট দিয়েছেন। এই সংখ্যাট কত, তা পরিষ্কার নয়।