প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
রাজনীতি করতে গিয়ে সাধারণ মানুষের দুঃখ-যন্ত্রণার দিকে যে নজর দেওয়া হচ্ছে না, সেটা স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেন মমতা। ভিড়ে ঠাসা সভামঞ্চে তিনি বুঝিয়ে দেন, এই সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ অমানবিক। বাংলার অগ্নিকন্যা বলেন, ‘আড়াই মাস ধরে ভোট! কোন দলের কথায়? কোন দলের সুবিধায়? রোদ-গরমে মানুষের তীব্র কষ্ট হচ্ছে। নিজেরা এসি ঘরে বসে থাকেন, তাই মানুষের দুর্দশা বোঝেন না। মাঠে ময়দানে নেমে আসুন, বুঝতে পারবেন।’ তারপরেই তিনি অভিযোগ তুলেছেন প্রশাসনিক সমস্যা নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একটাও উন্নয়নের কাজ হচ্ছে না। আমরা কাজের প্রতিশ্রুতি দিই এবং তা পূরণ করি। যাঁরা প্রতিশ্রুতি ভাঙেন, তাঁদের কথা আলাদা। কাজ স্তব্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন।’ এরপরেই তিনি এসেছেন রাজনৈতিক প্রশ্নে। তাঁর সাফ কথা, ‘ভোট এসেছে বলে নিত্যনতুন গ্যারান্টি দিচ্ছে! আগে কেন করোনি।’
এদিন উন্নয়ন সহ একাধিক প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দলকে বারবার নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, ‘ওটা ভাঁওতার সরকার। চাকরি দেয় না, চাকরি খায়। আমরা চাকরি দেব এবং চাকরি রক্ষার জন্য লড়ব। ওরা পাওনা টাকা দেয় না। আগামী দিনে মাছ-মাংস খেতে দেবে না। আমি কী খাব, কী পরব, কেমন করে উৎসব করব, তুমি ঠিক করে দেবে? উনি নোটবন্দি করেছেন, মানুষকে প্রতিদিন লাইনে দাঁড় করাচ্ছেন। ইতিহাস, ভূগোল তো বটেই, সংবিধানও বদলে দিচ্ছেন। লক্ষ্য একটাই, যেমন করে হোক জিততেই হবে। আর দেশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওঁকে হারাবে। গোটা পৃথিবীর মানুষ চিনে গিয়েছে, উনি কী বস্তু। আমি নাম দিয়েছি, প্রচারবাবু।’
এদিন ফের জোরের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, ‘বিজেপি ক্ষমতায় ফিরছে না। কোনওভাবে মোদি ক্ষমতায় এলে আমার, আপনার, দেশের কোনও মানুষের অস্তিত্ব থাকবে না। অসমে মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখছে, দেশের বিরোধী নেতাদের জেলে ভরছে। খালি উনি থাকবেন। তাই গোটা দেশটাকেই কারাগার বানিয়ে তোলার পরিকল্পনা করেছেন।’ এদিন উচ্চকণ্ঠে মমতার দাবি, ‘বাংলায় তৃণমূল থাকবে। তিনি বলেন, বাংলার এমন দুর্ভাগ্য কখনও হবে না যে, নরেন্দ্র মোদি বাংলার নেতা হবেন।’