প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
১২২ডি মানিকতলা স্ট্রিটের শিশির ভাদুড়ি সরণি এলাকায় একটি বাড়ি লাগোয়া বেশ কিছুটা ফাঁকা জমি রয়েছে। ওই বাড়ি ও জমির মালিক যাদব শাহুর (নাম পরিবর্তিত) সঙ্গে ভাড়াটে বিশু ঘোষের (নাম পরিবর্তিত) দীর্ঘদিনের বিবাদ। মালিকের দাবি, বাড়ি ও জমি হাতিয়ে নেওয়ার ছক ভাড়াটের। এ নিয়ে নিম্ন আদালতে মামলা হয়েছে। নিম্ন আদালত তাঁর পক্ষে রায় দিয়ে ডিক্রি জারি করেছে। কিন্তু সারমেয়দের তাণ্ডবে ডিক্রি কার্যকর করা যাচ্ছে না। একটি-দু’টি নয়, রয়েছে অন্তত সাত’টি সারমেয়। নিজের মালিকানাধীন সম্পত্তিতে ঢুকতে গেলেও দাঁত-নখ বের করে ঘেউ ঘেউ করে চড়াও হচ্ছে তারা। তাঁর আরও অভিযোগ, বটতলা থানায় জানানোর পর পুলিস ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সঙ্গেও একই কাণ্ড ঘটে। রীতিমতো তাড়া করে পুলিসকে ভাগিয়ে দেয় ভাড়াটের সারমেয় ‘ফৌজ’। এদিকে পুরসভা এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে মামলাটি উঠতেই বিস্ময় প্রকাশ করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, ‘এর আগে বিড়াল তাড়াতে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল। এবার কুকুর! নিম্ন আদালত আপনার পক্ষে ডিক্রি জারি করেছে। ভাড়াটে বিদায় হলে কুকুরও চলে যাবে। আপনি নিম্ন আদালতে যান।’ এজলাসে উপস্থিত পুরসভার আইনজীবীও দাবি করেন, এই ধরনের মামলা গ্রহণযোগ্য নয়। কিন্তু বাড়ি মালিকের আইনজীবীও নাছোড়বান্দা। তিনি দাবি করতে থাকেন, অন্তত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করুক পুরসভা। শেষে বিচারপতি সিনহা নির্দেশে জানিয়েছেন, সারমেয়গুলির জন্য জনসাধারণের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হচ্ছে কি না, তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জানাবেন পুরসভার আধিকারিক। এরপর মামলাটি খারিজ করেন বিচারপতি।