মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক সোমনাথ চক্রবর্তী বলেন, যেগুলি পুলকার হিসেবে চলে, তার উপরে নজরদারি কর হয়। এছাড়া প্রতিদিনই আমাদের অফিসাররা গাড়ি পরীক্ষা সহ নজরদারি চালায়। এছাড়া বিশেষ কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার নেই। কেউ ব্যক্তিগতভাবে গাড়ি ভাড়া করে যদি বাচ্চাদের স্কুলে পাঠায়, সেক্ষেত্রে কী করা যেতে পারে? জেলার অধিকাংশ স্কুল যারা নিজেদের গাড়িতে বাচ্চাদের আনার ব্যবস্থা করে, তারাও এক্ষেত্রে অসহায়তার দাবি করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্কুল আধিকারিক বলেন, আমরা যে সমস্ত গাড়ি ব্যবহার করি, তা নিয়মিত নজরদারিতে থাকে। কিন্তু বাইরে থেকে কিছু মানুষ মিলে যদি আমাদের স্কুলে তাদের বাচ্চাদের পাঠায়, সেখানে কী করা যেতে পারে? ওই বিষয়ে আমাদের কোনও এক্তিয়ার নেই। পোলবার দুর্ঘটনাগ্রস্ত পুলকারে থাকা এক পড়ুয়ার বাবা সুমন মুখোপাধ্যায় বলেন, কিছু করার নেই। হয় স্কুল বদলাতে হবে, নয়তো বিকল্প ব্যবস্থা করতে হবে। গাড়ির ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতার পুঁজি হিসেবে বাচ্চাকে ছেড়ে দেওয়া সম্ভব নয়। হয় আমাদের বাচ্চাকে নিয়ে যেতে হবে, নতুবা স্কুল বদলাতে হবে। আরও এক অভিভাবক ডলি পালও জানিয়েছেন, আদৌ ভাড়ার গাড়িকে পুলকার হিসেবে ব্যবহার করা হবে কি না, তা তারাও বিবেচনা করছেন। জেলার পুলিস সুপার (গ্রামীণ) তথাগত বসু বলেন, তদন্ত চলছে। আইনানুগ ব্যবস্থা হবে।
জেলার অধিকাংশ বেসরকারি স্কুলেই নিজস্ব পুলকারের সংখ্যা কম। ফলে ইচ্ছুক পড়ুয়াদের পরিবারকে ব্যক্তিগত উদ্যোগেই সেখানে বাচ্চাদের পাঠাতে হয়। ফলে বেসরকারি ছোট গাড়িগুলির একাংশ দিনের দু’টি সময়ে পুলকার হিসেবে ব্যবহার করার চল আছে। অথচ এই গাড়িগুলির রং, গতিবেগ নিয়ন্ত্রণ এসব মাপকাঠিতে পুলকারের শ্রেণীতে পড়ে না। আবার অভিভাবকরাও গাড়িগুলির স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়ে বিশেষ ওয়াকিবহাল থাকেন না। ফলে নজরদারি ঠিকমতো হয় না। জেলা আঞ্চলিক পরিবহণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিভাগীয় কর্মীরা মূলত সন্দেহের ভিত্তিতে গাড়ি পরীক্ষা করে। সমস্ত গাড়ি পরীক্ষার মতো পরিকাঠামো কার্যত নেই। শিশুদের পরিবহণকারী গাড়ি স্বভাবতই সন্দেহের ঊর্ধ্বে থাকে। সেই ফাঁক গলেই পোলবার অভিশপ্ত গাড়িটি আইন ফাঁকি দিতে পেরেছিল কি না, সে প্রশ্নও উঠে আসছে। তবে সবচেয়ে বেশি করে চর্চায় আসছে, পুলকার হিসেবে ব্যবহৃত গাড়িগুলির নজরদারি কীভাবে হবে বা কে করবে?