মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
আদালত ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বজবজ পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের ডিবিসিআর রোডের বাসিন্দা ৬৫ বছরের সুমিত্রা জাসুস। বাড়িতে তিনি ছাড়াও তাঁর এক বোন থাকেন। জমি সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে সুমিত্রা দেবীর সঙ্গে আলাপ হয় অমিতাভ প্রামাণিকের। ওই যুবক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কাজ করত। পরবর্তী সময়ে জমি সমস্যার বিষয়টি অমিতাভর সহযোগিতায় মিটে যায়। তার জেরে জাসুস পরিবারের ঘনিষ্ঠ হয়ে যায় ওই যুবক। যাতায়াত থেকে আর্থিক সুবিধা চাইলে তাও পেয়ে যেত অমিতাভ। ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর অমিতাভ বজবজে সুমিত্রা দেবীর বাড়ি যায়। তাঁর কাছে টাকা চায়। তিনি টাকা দিতে নিমরাজি হন। তাতেই গোঁসা হয় যুবকের। যদিও মুখে তিনি তা প্রকাশ করেনি। এরপর ১৮ ডিসেম্বর আরও একবার গিয়ে ফের টাকা দাবি করে সে। তখনও প্রত্যাখাত হয়। এবার মহিলাকে চিরতরে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে অমিতাভ। ১৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর সুমিত্রা জাসুসের বাড়ি যান ওই যুবক। বলেন, রাতে তিনি থাকবেন। সুমিত্রা দেবী কোনওরকম সন্দেহ করতে পারেননি। গভীর রাতে পাশের ঘর থেকে ধস্তাধস্তির আওয়াজ শুনে ঘুম ভেঙে যায় সুমিত্রা দেবীর বোনের। বিছানা ছেড়ে উঠে পাশের ঘরে যেতেই দেখতে পান, অমিতাভ তাঁর দিদির গলা চেপে ধরেছে। তাতে ছটফট করছে সুমিত্রা। দিদিকে ওইভাবে মারতে দেখে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। পরে জ্ঞান ফেরার পর দেখতে পান, খাটের উপর দিদির নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। গলায় কাপড় পেঁচানো। খবর পেয়ে পুলিস যায়।
সরকারি আইনজীবী সন্তু মজুমদার বলেন, ২০ ডিসেম্বর ভোরের দিকে অভিযুক্ত পালিয়ে যায়। বকখালিতে একটি হোটেলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছিল সে। বজবজের ওই বাড়ি থেকে চলে যাওয়ার আগে সুমিত্রা দেবীর মোবাইল ফোন সে ব্যবহার করে। ওই মোবাইলে নিজের সিম ঢুকিয়ে বকখালিতে এক মহিলাকে ফোন করে বিষয়টি বলে। এছাড়াও যেখানে সে কাজ করত, সেখানে একজনকে জানায়। শুধু তাই নয়, বকখালি যাওয়ার সময় বাসে এক ভদ্রলোকের সঙ্গে তার আলাপ হয়। তাকে খুনের বিষয়টি বলে আইনগত সাহায্য চায়। মোবাইলের এই সূত্র ধরে বজবজ থানার তদন্তকারী অফিসার ২৭ ডিসেম্বর অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। সব মিলিয়ে ওই ঘটনায় ১৮ জন সাক্ষী ছিলেন। সরকারি আইনজীবী বলেন, আশা করি বিচারক অভিযুক্তর কড়া সাজা ঘোষণা করবেন।