মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, এদিন দুপুরে হঠাৎই তাঁরা ওই কারখানার চিমনি থেকে কালো ধোঁয়া বের হতে দেখেন। তাঁরাই দমকলে খবর দেন। প্রথমে দমকলের তিনটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। তবে ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ার জন্য আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কেমিক্যাল কারখানা লাগোয়া একটি স্যানিটারি ন্যাপকিনের গুদাম রয়েছে। যার ফলে আগুন ওই গুদামে সহজে ধরে যায়। পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি দোকান সম্পূর্ণভাবে ভষ্মীভূত হয়ে যায়। বাজার এলাকায় রাস্তা সংকীর্ণ হওয়ার কারণে দমকলকর্মীদের আগুন নেভানোর জন্য বেশ সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বাজারের মোট চারটি গেট দিয়ে তারা আগুনের উৎসস্থলে গিয়ে পৌঁছন। ঘন্টাখানেক সময় ধরে তারা হোস পাইপ দিয়ে জল ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসেন। দমকল বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বাজারের ভিতরের রাস্তা এবং আগুনের উৎসস্থলে যাওয়ার পথ অত্যন্ত সরু হওয়ায় প্রাথমিকভাবে সেখানে পৌঁছনো যায়নি। আগুন নেভানোর ক্ষেত্রে বেশ সমস্যা হয়।
বাজারের ব্যবসায়ীদের মতে, বেশ কয়েকটি দোকান পুড়ে যাওয়ায় বহু টাকার লোকসান হয়েছে। তবে আশেপাশের দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারত বলে তাঁদের দাবি। ইমরাজ ফালুদাওয়ালা নামে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘আগুন লাগার পরেই স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ওই বাড়িতে বসবাসকারীদের দ্রুত বের করে নিয়ে আসা হয়। রবিবার বলে এদিন বাজার বন্ধ ছিল। তাই কেউ আটকে পড়েননি।’
ঘটনাস্থলে যান দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। গোটা এলাকার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। মন্ত্রী স্থানীয় বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেন। নারকেলডাঙ্গা থানা সহ বেলেঘাটা থানার আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছন। পাশাপাশি পুলিসের তরফে জানান হয়েছে, অগ্নিকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার জন্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ছাড়াও সিইএসসির একটি দলকে রাজাবাজারে পাঠানো হয়।