মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
এদিকে, ওই বিশেষজ্ঞ দলের তদন্তের মাঝেই স্থানীয় কৃষক ও বাসিন্দারা কারখানায় বিক্ষোভ দেখায়। তাদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ওই কারখানার বিষাক্ত গ্যাস ও ব্যবহৃত রাসায়নিকের কারণে এলাকায় বসবাস ও চাষাবাদে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। শ্রমিক মৃত্যুর প্রেক্ষিতে নতুন করে জীবনহানির আতঙ্ক এলাকায় তৈরি হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগের সমর্থন মিলেছে স্থানীয় পঞ্চায়েত উপপ্রধানের কথাতেও। উপপ্রধান শাহদাত আলি বলেন, গ্যাস লিক করে বিষাক্ত ধোঁয়ায় একজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আর চারজন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এই অবস্থায় কারখানা চালু রাখা নিরাপদ কীভাবে বলা যেতে পারে? স্থানীয় মানুষ ও কৃষকদের আতঙ্ক অমূলক নয়। আমরা কারখানা খোলার পক্ষে নই। বিশেষজ্ঞ দলও এনিয়ে আমাদের নিশ্চিত করতে পারেনি। বিশেষজ্ঞ দলের সদস্যরা স্থানীয় মানুষ, পুলিস প্রশাসনের সঙ্গে কথা বললেও সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হতে চায়নি।
গত ১৩ ফেব্রুয়ারি পোলবার রাজহাটের ওই সীসা কারখানায় দুর্ঘটনা ঘটে। তারই জেরে বিষাক্ত গ্যাস বেরিয়ে পাঁচজন শ্রমিক গুরুতর জখম হয়। সেদিন তাদের স্থানীয় হাসপাতাল থেকে শেষপর্যন্ত কলকাতার একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার গভীর রাতে কমল মণ্ডল(৪২) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় জখম আর চারজন এখনও আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে। কারখানা সূত্রে জানা গিয়েছে, তাদের নাম উত্তম মান্না, অভিজিৎ মুণ্ডা, দীননাথ বাউড়ি ও নবকুমার পাকড়াশি। ওই ঘটনার পর থেকেই কারখানা অস্থায়ীভাবে বন্ধ হয়েছিল। কারখানার শ্রমিক থেকে অন্যন্য কর্মীদেরও হদিশ নেই। এদিন পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে এসেছিল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা টিমের বিশেষজ্ঞরা।