বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
দেশ

কর্মসংস্থান তৈরিতে ব্যর্থ, গ্রামীণ ভারতকে ঋণ দিতে মরিয়া কেন্দ্র

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: গত ২৪ মাস ধরে গ্রামীণ ভারতের ক্রয়-বিক্রয় তলানিতে। বিশেষ করে ভোগ্যপণ্য ক্রয়ে পিছিয়ে পড়ছে গ্রামীণ ভারত। এর অন্যতম প্রধান কারণ হাতে নগদ টাকা না থাকা। এবং কর্মসংস্থান কমে যাওয়া। আর গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা না হলে ভারতের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না, এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার মোদি সরকার। তাই কর্মসংস্থান তৈরিতে ব্যর্থ হওয়া কেন্দ্রীয় সরকার এবার গ্রামকে বেশি লোন দিতে মরিয়া। সেই কার঩ণেই ক্ষুদ্র শিল্প, কৃষি, স্বনিযুক্তি গোষ্ঠী অথবা নিজস্ব ব্যবসার জন্য গ্রামীণ ভারত যাতে আরও বেশি ঋণ পেতে পারে, সেই লক্ষ্যে বিশেষ প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। চালু হচ্ছে গ্রামীণ ক্রেডিট স্কোর সিস্টেম। সরকারিভাবে লোনগ্রহণ যোগ্যতার এই মাপকাঠি নির্ধারণ প্রক্রিয়া এই প্রথম।
সাধারণত গ্রামাঞ্চলে সোজা পথে অর্থাৎ ব্যাঙ্ক, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তালিকাভুক্ত আর্থিক সংস্থা থেকে নির্দিষ্ট নিয়মে এবং নির্ধারিত সুদে ঋণ গ্রহণ করার প্রচলন ও প্রবণতা কম। কারণ একাধিক। পর্যাপ্ত নথিপত্র না থাকা এবং প্রয়োজনীয় সম্পদ এবং নির্দিষ্ট তথা নিয়মিত আয় দেখাতে না পারা। অতএব প্রত্যাখ্যাত হতে হয় তাদের। তার উপর নিয়মিত বৈধ লোনের কোনও ইতিহাস না থাকায় ক্রেডিট রেটিং সংস্থার রেটিং জানা যায় না। ফল? কৃষি হোক কিংবা মেয়ের বিয়ে—গ্রামীণ ভারত চড়া সুদে অবৈধ আর্থিক সংস্থা অথবা মহাজনী ব্যবসায়ীর থেকে অর্থ ধার করে চলেছে দীর্ঘকাল ধরে।
এই পরিস্থিতিতে দু’রকম ক্রেডিট স্কোরিং ব্যবস্থা চালু হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য এমএসএমই ক্রেডিট অ্যাসেসমেন্ট এবং গ্রামীণ ক্রেডিট স্কোরিং। কীভাবে হিসেব হবে, গ্রামীণ মানুষের ক্রেডিট স্কোর কেমন? দেখা হবে, বিদ্যুৎ বিল, সম্পত্তি কর, নিয়মিত মোবাইল রিচার্জ করা অথবা কোনও নির্দিষ্ট বিল নিয়মিত ভাবে পরিশোধ করার রেকর্ড কেমন। অর্থাৎ, এইসব নিত্যদিনের পরিষেবা যদি কোনও ব্যক্তি নিয়মিত মেটান, তাহলে তাঁর ক্রেডিট স্কোর বেশি হবে। অর্থাৎ ঋণ নেওয়ার যোগ্যতা বাড়বে। এমনকী যদি দেখা যায়, ঋণ নেওয়ার পর কয়েকটি কিস্তি সঠিকভাবে পরিশোধ করা হয়েছে, তাহলেও সেই পয়েন্ট যুক্ত করা হবে। এবং তাতে নতুন করে লোন পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করা যাবে। স্বনিযুক্তি গোষ্ঠীর জন্য এই ব্যবস্থা বিশেষভাবে কার্যকর করা হবে বলে অর্থমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ভারতে একটি বিস্ময়কর প্রথা রয়েছে যা সরকারিভাবেই গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। একটি বিশেষ বেসরকারি সংস্থা নিজেদের নিয়মনীতি প্রয়োগ করে ভারতবাসীর ঋণ গ্রহণের যোগ্যতার মানদণ্ড তৈরি করে। ওই বেসরকারি সংস্থার রেটিং ক্রমেই ঋণ পাওয়ার সবথেকে বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য মাধ্যম হয়ে উঠেছে। অথচ সরকারের নিজস্ব কোনও ক্রেডিট স্কোরিং মডেল নেই। পিছিয়ে পড়া গ্রামীণ ভারত দিয়ে সেই মিথ ভাঙার কাজ শুরু করতে চলেছে কেন্দ্র।
1d ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বিশেষ কোনও কর্মের আর্থিক সংস্থান নিয়ে মানসিক চিন্তা বৃদ্ধি পাবে। আর্থিক ঝুঁকি নেবার আগে দুবার...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার ৮৫.৮৮ টাকা ৮৭.৬২ টাকা
পাউন্ড ১০৭.৮৬ টাকা ১১১.৬২ টাকা
ইউরো ৮৯.১৯ টাকা ৯২.৫৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা