দেশ

৪০০ পারের হুঙ্কারেই ২২৪৪ কোটি!

নয়াদিল্লি: অনুদান না টাকার মেশিন! লোকসভা নির্বাচনে ৪০০ পারের স্বপ্ন দেখেছিল বিজেপি। কিন্তু বাস্তবে এককভাবে সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগারই পেরতে পারেনি। মাত্র ২৪০ আসনে থমকে যায় নরেন্দ্র মোদির জয়রথ। তার কোনও প্রভাব অবশ্য পড়েনি দলের তহবিলে। বরং ভোটের বছরে ফুলে ফেঁপে উঠেছে বিজেপির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। শুধু অনুদান হিসেবেই জমা পড়েছে ২ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা! বিগত আর্থিক বছরের তুলনায় যা প্রায় তিনগুণ। তাৎপর্যপূর্ণ হল, এই হিসেবনিকেশে ‘বিতর্কিত’ নির্বাচনী বন্ডের চাঁদাকে ধরা হয়নি। এটি শুধু ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে ২০ হাজার টাকা বা তার বেশি অনুদান দিয়েছে যে সব ব্যক্তি, ট্রাস্ট বা কর্পোরেট সংস্থা, সেই সংক্রান্ত পরিসংখ্যান। অর্থাৎ নির্বাচনী বন্ড মেলালে অঙ্কটা যে আরও কয়েক গুণ বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য!
স্বাভাবিকভাবেই বিজেপির এই ‘অনুদান’ নামক টাকার মেশিন নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা। কারণ, মোট অনুদানের ৫০ শতাংশেরও বেশি পেয়েছে মোদির দল। চাঁদার এই তথ্যেই স্পষ্ট হয়ে গেছে বিজেপির সঙ্গে পুঁজিপতিদের যোগসাজশ— সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর সাফ কথা, ‘পুঁজিপতিদের থেকে টাকা আদায় করতেই নির্বাচনী বন্ড এনেছিলেন অরুণ জেটলি। সুপ্রিম কোর্ট অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে তা বাতিল করে দিয়েছে। তারপরও বিজেপি এত বিপুল পরিমাণ টাকা পেয়েছে। এই ট্রেন্ড মোটেই ভালো নয়।’ সত্যি সত্যিই ব্যক্তি, ট্রাস্ট ও কর্পোরেট সংস্থা থেকে আয়ের নিরিখে বিজেপির ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি বিরোধী কোনও দল। প্রধান বিরোধী কংগ্রেসের তহবিলে এসেছে মাত্র ২৮৮ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। অনুদানের অঙ্কে রাহুল গান্ধীর দলকে অবশ্য হারিয়ে দিয়েছে ভারত রাষ্ট্র সমিতি। তালিকায় বিজেপির ঠিক পরেই তারা। তেলেঙ্গানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কে সি আরের দলের অ্যাকাউন্টে চাঁদা জমা পড়েছে ৫৮০ কোটি টাকা। 
গত মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া অনুদানের হিসেব নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে বিজেপি। তাতে দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন ইলেক্টোরাল ট্রাস্ট থেকে তারা পেয়েছে ৮৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রুডেন্ট ৭২৩ কোটি, ট্রিম্প ১২৭ কোটি ও আইনজিগারটিগ ১৭.২ লক্ষ টাকা জমা দিয়েছে। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ও আয়কর দপ্তরের রেডারে থাকা সংস্থার মালিকের থেকেও মোটা টাকা অনুদান পেয়েছে বিজেপি। কমিশনে জমা পড়া তথ্য বলছে, ওই সংস্থার নাম ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিস। কর্ণধার ভারতের ‘লটারি কিং’ সান্তিয়াগো মার্টিন। তাঁর সংস্থা ৩ কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে গেরুয়া শিবিরকে। বিজেপির দেওয়া তালিকা অনুযায়ী, অনুদানের নিরিখে সবার শেষে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। এরাজ্য থেকে সবমিলিয়ে দু’কোটি টাকার মতো চাঁদা পেয়েছে গেরুয়া শিবির। তারমধ্যে দু’ধাপে দেড় কোটি টাকা দিয়েছে একটি সিমেন্ট সংস্থা। বিধানসভার বিরোধী দলনেতার অবদান মাত্র ৫১ হাজার টাকা। 
কর্পোরেট সংস্থাগুলি থেকে এভাবে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার মতো অনুদান নিয়ে এক্স হ্যান্ডলে তোপ দেগেছে তৃণমূল। তাদের অভিযোগ, ‘এই চাঁদার অঙ্কেই স্পষ্ট যে, বিজেপি টাকার জোরে রাজনীতি করে। কর্পোরেট অনুদান যখন জনস্বার্থকে ছাপিয়ে যায়, তাকে কী আর গণতন্ত্র বলা যায়? প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, আপনার সরকার মানুষের সেবা করছে? না আপনার দলকে চাঁদা দেওয়া কোটিপতিদের ইচ্ছায় চলছে? ভোটাররা বিক্রি হয়ে যাওয়া কোনও সরকার চায় না!’
15h 15m ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পড়ে গিয়ে বা পথ দুর্ঘটনায় আঘাতপ্রাপ্তির যোগ থাকায় সতর্ক হন। কর্মে  উন্নতি ও সাফল্যের যোগ।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৪.৪৩ টাকা৮৬.১৭ টাকা
পাউন্ড১০৫.১৭ টাকা১০৮.৯১ টাকা
ইউরো৮৭.০৬ টাকা৯০.৪৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা