অযোধ্যা: বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার টোপ দিয়ে অযোধ্যার রামমন্দিরের এক মহিলা সাফাই কর্মীকে গণধর্ষণের অভিযোগ।  এই ঘটনায় যোগীরাজ্যের পুলিসের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগও উঠেছে। ঘটনা ঘিরে শোরগোল শুরু হওয়ার পর আটজন অভিযুক্তকেই গ্রেপ্তার করেছে উত্তরপ্রদেশ পুলিস। 
জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা ওই সাফাইকর্মী কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীও। গত ১৬ আগস্ট তাঁকে  গণধর্ষণ করে বংশ চৌধুরী নামে এক যুবক ও তার সঙ্গীরা। মুখ খুললে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারকে খুন করে দেওয়ার হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। এজন্য প্রথমে পুলিসের দ্বারস্থ হওয়ার সাহস পাননি তরুণী। কিন্তু তাতেও রেহাই পাননি তিনি। ২৫ আগস্ট মন্দির যাওয়ার পথে ফের তাঁকে অপহরণ করা হয়। কোনওক্রমে পালিয়ে গিয়ে পুলিসে অভিযোগ জানান নির্যাতিতা। কিন্তু, প্রথমে অভিযোগ দায়েরই করেনি পুলিস। এই ইস্যুতে চাপ তৈরি হতে ২ সেপ্টেম্বর তদন্ত শুরু করে পুলিস। তখনই বংশ ও তার সহযোগীদের গ্রেপ্তার করা হয়। এক তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন,বংশকে বিগত চার বছর ধরে চিনতেন নির্যাতিতা। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়েই তাঁকে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়। অভিযোগপত্রে ওই তরুণী জানিয়েছেন, সাহাদাতগঞ্জের বাসিন্দা বংশ তাঁকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন। তারপর তাঁকে একটি গেস্টহাউসে নিয়ে যায় অভিযুক্ত। সেখানে আটকে রেখে দুই বন্ধুকে নিয়ে গণধর্ষণ করে বংশ। পরে আরও তিন যুবক তাদের সঙ্গে যোগ দেয়। এরপর ওই গেস্টহাউস থেকে বনবীরপুরে নিয়ে গিয়ে ফের নির্যাতন করে অভিযুক্তরা। ১৮ তারিখ তরুণীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর গত ২৫ আগস্ট  ফের তাঁকে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে অভিযুক্তরা। কিন্তু গাড়িটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারার পর সেই সুযোগে তরুণী পালিয়ে গিয়ে থানার দ্বারস্থ হয়। সেখানে টালবাহানার পর অভিযোগ দায়ের করে পুলিস। পুলিস সূত্রে খবর, নির্যাতিতা যে জায়গাগুলি উল্লেখ করেছেন, সবগুলিই মন্দির শহরের অত্যন্ত হাইসিক্যুরিটি জোন। অযোধ্যার ক্যান্টনমেন্ট থানার আধিকারিক অমরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তের পর গত ২ সেপ্টেম্বর মামলা দায়ের হয়েছে। আদালত ধৃতদের জেল হেফাজতে পাঠিয়েছে।