কানপুর: ফের নারী নিগ্রহের ঘটনায় তোলপাড় যোগীরাজ্য। জাতীয় সড়কের ধারে পড়ে মহিলার মুণ্ডুহীন দেহ। আঁতকে ওঠার মতো দৃশ্যের সাক্ষী থাকল উত্তরপ্রদেশের কানপুর। গত বুধবার ভোরে উদ্ধার হয় ওই মহিলার দেহ। পরে তাঁর দলাপাকানো মাথাও পাওয়া যায়। তারপর ২৪ ঘণ্টার বেশি কেটে গেলেও মৃতের পরিচয় জানতে পারেনি ‘ডাবল ইঞ্জিন’ রাজ্যের পুলিস। প্রাথমিকভাবে সন্দেহ, ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তারপর জাতীয় সড়কের ধারে দেহ ফেলে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতিতে নিয়ে ফের প্রশ্নের মুখে পড়েছে বিজেপি সরকার। 
গত বুধবার ভোর সোয়া ছ’টা নাগাদ গুজাইনিতে কানপুর-দিল্লি জাতীয় সড়কের পাশে ওই দেহটি দেখতে পেয়েই পুলিসে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিসের ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ)  রবীন্দ্র কুমার জানিয়েছেন,  মৃতদেহের পাশ থেকে মোবাইল, ব্যাগ বা কোনও পরিচয়পত্র পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যে ওই মহিলার মাথা খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। তাঁর হাড় ও দাঁত ভাঙা ছিল। ভোঁতা কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন দেহে মিলেছে বলে খবর। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণ ও খুনের পাশাপাশি দুর্ঘটনার তত্ত্বও উঠে আসছে। পুলিস জানিয়েছে, কোনও গাড়িতে ধাক্কা লেগে হয়তো তাঁর দেহ ছিটকে পড়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছে পুলিস। এখনও পর্যন্ত আশেপাশে এলাকার 
কোনও মহিলার নিখোঁজ ডায়রির খবর নেই। মহিলার পরিচয় জানতে ওই এলাকার সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পরীক্ষা করছেন পুলিস আধিকারিকরা। জাতীয় সড়কের বিপরীতে থাকা একটি হাসপাতালের বাইরে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে। সেখানে ধূসর রঙের পোশাক পরে এক মহিলাকে রাস্তা পেরতে দেখা যায়। ওই রঙের পোশাকই মহিলার দেহের পাশ থেকে উদ্ধার হয়েছে। বিরোধীরা অবশ্য বলছে, যে অবস্থায় মহিলার দেহ উদ্ধার হয়েছে, তা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকেই ইঙ্গিত করছে। সমাজবাদী পার্টির সাংসদ অখিলেশ যাদব বলেছেন, ‘আশা করছি রাজ্যের বিজেপি সরকার রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে ঘটনার সচ্ছ্ব তদন্ত করবে।’ যোগী সরকারকে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। তিনি বলেন, ‘ঘর হোক বা বাইরে, রাস্তা বা কর্মক্ষেত্র— দেশে মহিলারা কোথাও সুরক্ষিত নন।’