দেশ

এবার জামাতের টার্গেট উত্তর-পূর্ব ভারত ভাগ, প্রকাশ্যে হুমকি

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে পটপরিবর্তন হয়েছে বাংলাদেশে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন প্রাক্তন, শপথ নেওয়ার অপেক্ষায় শান্তিতে নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু সেই ইউনুসের মুখেই শোনা যাচ্ছে দিল্লি-বিদ্বেষের সুর। সংবাদমাধ্যমে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিয়েছেন উত্তর-পূর্ব ভারত নিয়ে—‘বাংলাদেশে অস্থিরতা তৈরি করা হলে, শান্তিতে থাকবে না সেভেন সিস্টার্স এমনকী পশ্চিমবঙ্গও।’ তাতেই সিঁদুরে মেঘ কাঁটাতারের এপারে।
গণতন্ত্র, ন্যায় আর ধর্মনিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠায় যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তা মাঝপথে ধর্মান্ধ জামাত আর পাকিস্তানপন্থীরা ‘হাইজ্যাক’ করে নিয়েছে। পড়ুয়াদের ছাপিয়ে এখন বাড়বাড়ন্ত খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের বিএনপির। এই দুই ঘটনাই দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে নয়াদিল্লির। গত ৫ আগস্ট পালাবদলের পর থেকে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে সমাজমাধ্যমে শুরু হয়েছে ভারতবিদ্বেষী পোস্টের বন্যা। তা থেকে একটা জিনিস ভারতীয় গোয়েন্দাদের কাছে স্পষ্ট—জামাতের মাধ্যমে পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্স (আইএসআই) নতুন করে টার্গেট বানিয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারত বা ‘সেভেন সিস্টার্স’কে। সক্রিয় করা হয়েছে তাদের ঝিমিয়ে পড়া বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক এবং নর্থ-ইস্ট ইন্ডিয়া ডেস্ককে। উত্তর-পূর্ব ভারতের জঙ্গিদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন এক ব্রিগেডিয়ার এবং কর্নেলকে। আর এসবের মধ্যেই উৎসাহী হয়ে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক বুধবার জানিয়ে দিল, পটবদলে বাংলাদেশের সঙ্গেই আছে তারা। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগেই তাদের আগাম শুভেচ্ছা জানিয়েছে ইসলামাবাদ।
সেসবের থেকেও অবশ্য ইউনুসের কথায় বিশেষ উৎসাহ বেড়েছে ভারত বিরোধীদের। গোয়েন্দারা জেনেছেন, ‘আইএসআই’-এর পেশোয়ার ইউনিটের আড়ালে থাকা একটি এক্স হ্যান্ডল (@pak1stteam) থেকে লাগাতার কুৎসা ও মিথ্যাচার চলছে। সেখানে জনৈক ইশফাক শাহ সম্প্রতি উর্দুতে লিখেছিল—‘পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে ঢুকে সশস্ত্র ভারতীয় সেনা মুসলমানদের মারতে আসছে। হাসিনাকে ক্ষমতায় ফেরাতে চায় তারা।’ সেনা ট্রাকের পুরনো ছবি পোস্ট করে বলা হয়, এতে চেপেই ঢাকায় ঢুকছে ভারতীয় বাহিনী। ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিটিক্যাল উইং (র)-কে নিয়ে গত ৫ আগস্ট রাতের গুজব এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে, বাংলাদেশ সেনাকে রাস্তায় নেমে মাইকে ঘোষণা করতে হয়, এখনও পর্যন্ত ভারতীয় সেনা ঢাকায় ঢোকার কোনও খবর নেই। তবুও গুজব অব্যাহত সমাজমাধ্যমে।
গোয়েন্দারা বলছেন, ১৯৯১-’৯৬ এবং ২০০১-’০৬, খালেদা জিয়া-জামাতের শাসনে গোটা বাংলাদেশকে চারণক্ষেত্র বানিয়ে ফেলে আইএসআই। বাংলাদেশ সরকার, তার গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই-এর প্রত্যক্ষ মদতে উত্তর-পূর্ব ভারতের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলিও খুলেছিল ১৭২টি অস্ত্র প্রশিক্ষণ শিবির। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, সুনামগঞ্জ, শেরপুর, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, সিলেটের মতো এলাকায় ছিল শিবিরগুলি। পাকিস্তানের টাকা, চীনের অস্ত্র আর বাংলাদেশের নির্বিঘ্ন আশ্রয়ে উত্তর-পূর্ব ভারতে বেড়ে উঠছিল জঙ্গিরা। সূত্রের খবর, এই পর্বে উলফা, এনএলএফটি, এটিটিএফ, পিএলএ, এনএসসিএন এবং কেএলও’র মতো জঙ্গি সংগঠনগুলি ‘তোলাবাজি’ থেকে উপার্জিত অর্থ বাংলাদেশের বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, নির্মাণ এবং হোটেল ব্যবসায় বিনিয়োগও করে। ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গিদের সেই ‘রাজপাট’ উৎখাত করেন শেখ হাসিনা। মোস্ট ওয়ান্টেড ২৬ জন জঙ্গির সঙ্গেই দাউদ ইব্রাহিমের সহযোগী তথা মুম্বই বিস্ফোরণ কাণ্ডে যুক্ত আব্দুল করিম টুন্ডা, দাউদ মার্চেন্টের মতো গ্যাংস্টারদের ভারতের হাতে তুলে দেন। গোয়েন্দারা বলছেন, হাসিনার পতনের সঙ্গেই তাই তৎপরতা শুরু হয়েছে উত্তর-পূর্ব ভারতের জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির মধ্যে। 
এবার টার্গেট সেভেন সিস্টার্স!
3Months ago
কলকাতা
রাজ্য
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ব্যবসা ও পেশায় ধনাগম ভাগ্য আজ অতি উত্তম। বেকারদের কর্ম লাভ হতে পারে। শরীর স্বাস্থ্য...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.৫৯ টাকা৮৫.৩৩ টাকা
পাউন্ড১০৫.০৬ টাকা১০৮.৭৯ টাকা
ইউরো৮৭.৪৫ টাকা৯০.৮১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা