দক্ষিণবঙ্গ

‘সম্প্রীতি’ থিমে সাজছে কেশপুর বাসস্ট্যান্ডের সর্বজনীন দুর্গোৎসব

রাজদীপ গোস্বামী, কেশপুর: দুর্গাপুজোর তদারকি করছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হিন্দুরাও পুজোর আয়োজনে মগ্ন। এমনকী পুজোকমিটিতেও এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছেন। এবছর তাই পুজোর থিমের নামও রাখা হয়েছে ‘সম্প্রীতি’। ছবিটা কেশপুর থানার কেশপুর বাসস্ট্যান্ড সর্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির। এবছর পুরনো মন্দিরের আদলে তৈরি হচ্ছে মণ্ডপ। তাঁদের পুজোর বাজেট প্রায় ৯ লক্ষ টাকা। ইতিমধ্যেই জোরকদমে শুরু হয়েছে পুজোর প্রস্তুতি। পুজোর উদ্যোক্তাদের দাবি, রেকর্ড পরিমাণ ভিড় হবে। পুজো উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। তবে শুধু কেশপুর নয়, জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাধারণ মানুষ পুজো দেখতে আসবেন বলে আশাবাদী পুজো কমিটির সদস্যরা।
এদিন পুজো কমিটির যুগ্ম সভাপতি মহম্মদ রফিক বলেন, পুজোয় প্রচুর মানুষের সমাগম হবে। আমাদের পুজোর মূলমন্ত্র একতা ও সম্প্রীতি। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ পুজো দেখতে আসবেন। ধর্ম যার যার, কিন্তু দুর্গাপুজো সবার। সেই থিমেই পুজো হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগেও ওই এলাকায় ছোট আকারে দুর্গাপুজো হতো। তাই বেশ সমস্যায় পড়তে হতো এলাকার বাসিন্দাদের। পুজো দেখতে যেতে হতো মেদিনীপুরে। সেকথা মাথায় রেখেই দুর্গাপুজো শুরু করার পরিকল্পনা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুজোর উদ্যোগ নিতে এগিয়ে আসেন এলাকার মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষও। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে শুরু হয় পুজো। পুজোর সময় সাধারণ মানুষের জন্য ভোগপ্রসাদের ব্যবস্থাও করা হয়। প্রতিদিন মণ্ডপ প্রাঙ্গণে গড়ে পাঁচ থেকে ছ’হাজার মানুষ আসেন। পুজোকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ছোট ব্যবসায়ী পসরা সাজিয়ে বসেন। এছাড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীদেরও বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয়। সারাবছর এলাকার হিন্দু ও মুসলিম পরিবারের মানুষ পুজোর জন্য অপেক্ষায় থাকেন। 
পুজো কমিটির যুগ্ম সম্পাদক প্রদ্যুৎ পাঁজা ও শেখ সফেদ আলি বলেন, বেশ কয়েকমাস আগে থেকেই পুজোর আয়োজন শুরু হয়। পুজোমণ্ডপ তৈরির কাজ জোরকদমে চলছে। এলাকার পুলিস-প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া পুজো পরিচালনা সম্ভব হতো না। তবে, শুধু পূজার্চনা নয়, বিভিন্ন সামাজিক কাজে এগিয়ে আসেন পুজো কমিটির সদস্যরা। পুজো কমিটির সদস্যদের উদ্যোগে দুর্গাপুজোর সময় বস্ত্র বিতরণের আয়োজন করা হয়। এছাড়া দুঃস্থ মানুষের জন্য স্বাস্থ্য শিবিরের ব্যবস্থাও করেন পুজোর উদ্যোক্তারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, করোনা মহামারীর সময়ও পুজো কমিটির সদস্যরা মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হয়। পুজো কমিটির যুগ্ম সভাপতি চিত্তরঞ্জন গড়াই বলেন, সকলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি।
গত বছরের কেশপুর বাসস্ট্যান্ড সর্বজনীনের পুজো।
9d ago
কলকাতা
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

পেশা ও ব্যবসায় উন্নতির বড় কোনও সুযোগ প্রাপ্তি। ধর্মভাব শুভ। স্বাস্থ্য গড়বড় করতে পারে।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮২.৮৩ টাকা৮৪.৫৭ টাকা
পাউন্ড১০৯.৩৫ টাকা১১২.৯২ টাকা
ইউরো৯১.৯২ টাকা৯৫.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা