নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
নিউজিল্যান্ডের পিচে বল যথেষ্ট স্যুইং করে। বাউন্সও বেশ ভালো। তাই ব্যাটসম্যানদের সতর্ক হওয়া উচিত বলেই মনে করেন হিটম্যান। প্রসঙ্গক্রমে তাঁর মন্তব্য, ‘যে কোনও পরিস্থিতিতেই নতুন বল সামলানো বেশ কঠিন। ভারতের বাইরে তো এই কাজ কঠিনতর হয়। তবে ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ অবশ্যই ব্যতিক্রম। পুনেতে আয়োজিত দ্বিতীয় টেস্টে পেস বোলাররা যথেষ্ট সাহায্য পেয়েছিল। স্যুইং ও বাউন্স, দুটোই ছিল আশাব্যঞ্জক। স্যাঁতস্যাঁতে পিচের সুযোগ ইনিংসের প্রারম্ভিক পর্বে কাজে লাগিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা। ডাবল সেঞ্চুরি পেলেও রাঁচির পিচ মোটেই ব্যাটসম্যানদের অনুকূলে ছিল না। তবে নিউজিল্যান্ডের পিচে সাফল্য পাওয়া আমাদের কাছে অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং হবে। কঠিনতর পরিস্থিতির সঙ্গে কীভাবে মানিয়ে নিতে হয় তা জানি। চেষ্টা করব, কিউয়িদের মাঠে সেরা পারফরম্যান্স মেলে ধরতে।’
সদ্যসমাপ্ত অস্ট্রেলিয়া বনাম নিউজিল্যান্ড সিরিজ খুঁটিয়ে দেখেছেন রহিত শর্মা। অজিদের কাছে ০-৩ ব্যবধানে হারলেও কিউয়িদের বোলিং ডিপার্টমেন্টে যথেষ্ট ভারসাম্য রয়েছে বলে তাঁর ধারণা। হিটম্যানের বিশ্লেষণ, ‘নিউজিল্যান্ড দলে একাধিক দক্ষ পেস বোলার রয়েছে। তবে এই বিভাগে আমরাও কম নই। যশপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সামিরা বিশ্বের যে কোনও পিচে বিপক্ষের শিরদাঁড়া ভেঙে দিতে পারে। তাই প্রতিপক্ষের চোখে চোখ রেখে লড়াই করব আমরা।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টে ওপেনার হিসেবে খেলা প্রথম ইনিংসেই দুরন্ত দ্বিশতরান আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে রহিতের। বীরেন্দ্র সেওয়াগের অবসরের পরেই কি এই সুযোগ পাওয়া উচিত ছিল তাঁর? প্রশ্নের উত্তরে মুম্বইকর জানান, ‘এই ব্যাপারে কী আর বলব। তবে দেরিতে এলেও সুযোগ কাজে লাগাতে পেরেছি, এটাই বড় কথা। আগে সুযোগ পেলে কী হত তা নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। দলের সাফল্যই আমার কাছে প্রধান। ব্যক্তিগত কীর্তি তৃপ্তি অবশ্যই দেয়। কিন্তু প্রথমে আমি টিমম্যান, পরে ব্যাটসম্যান। গত বছরে টিম ইন্ডিয়ার সাফল্যের নেপথ্যে সামান্য অবদান রাখতে পেরেছি। ভবিষ্যতেও এই লক্ষ্য থেকে সরব না।’ গত ছ’বছর আইসিসি আয়োজিত প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। এই ব্যর্থতা অবশ্যই নাড়া দেয় রহিতকে। তবে দ্রুত এই খরা কাটানোর রসদ রয়েছে ভারতীয় দলে, এমনটাই জানিয়েছেন রহিত। প্রসঙ্গক্রমে তাঁর বক্তব্য, ‘স্কোয়াডে একাধিক প্রতিশ্রুতিসম্পন্ন ক্রিকেটার রয়েছে। তাদের সেট হওয়ার জন্য সময় তো দিতেই হবে। এরা পরিণত হলেই দেখবেন আইসিসি প্রতিযোগিতায় ভারত আবার সেরা হচ্ছে। লোকেশ রাহুল, ঋষভ, শ্রেয়াস ও শিবম দুবেরা একসঙ্গে খুব বেশি ম্যাচ খেলেনি। এটা অবশ্যই সমস্যা। একসঙ্গে খেলতে খেলতেই ওরা পরিণত হয়ে উঠবে।’