সংবাদদাতা, ডোমকল: রানিনগরে অভিযোগের তদন্তে গিয়ে পুলিসের সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের ধস্তাধস্তিতে উত্তেজনা ছড়াল। পাল্টা পুলিসের বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে ওই ঘটনায় দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় রানিনগরের মরিচা নিচুপাড়ায়। মরিচা নিচুপাড়ায় তৃণমূলকে ভোট দেওয়ায় এক মহিলাকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় কয়েকজন বাম কংগ্রেস জোটকর্মীর বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার সকালে সিরিফা বেওয়া নামে ওই মহিলা এনিয়ে রানিনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। দুপুরে রানিনগর থানার পুলিসের একটি টিম সেই ঘটনার তদন্তে যায়। অভিযুক্তদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার সময় স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী দাবি করেন, কোনও তদন্ত ছাড়াই অভিযুক্তদের এখনই গ্রেপ্তার করতে হবে। এমনকী পুলিসের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। সেই ঘটনা বেশ কয়েকজন মোবাইলে ক্যামেরাবন্দি করেন। তাতে দেখা যাচ্ছে এক পুলিসকর্মীকে ঘিরে ধরে টানাটানি করছেন কয়েকজন। এরপরই তুমুল উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। বিশাল পুলিসবাহিনী পৌঁছয়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আশেপাশের বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরুদ্ধে।  নাসিমা বিবি নামে এক তৃণমূল সমর্থক বলেন, আমার স্বামী বাড়িতে ছিল না। সেই সময় পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে ব্যাপকভাবে আমাকে মারধর করেছে। বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। সোলেমান আলি শেখ নামে এক তৃণমূল কর্মী বলেন, আমি অসুস্থ। আচমকা পুলিস এসে আমাদের বাড়িতে ভাঙচুর করতে শুরু করে দেয়। আমার মাকে ও প্রতিবন্ধী ভাইকেও ব্যাপক মারধর করে। রানিনগর-২ ব্লক কংগ্রেস সভানেত্রী মমতাজ বেগম হীরা বলেন, তৃণমূলের কর্মীরা মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের কর্মীদের ফাঁসাতে চাইছিল। পুলিস তা করেনি। এরপরই ওরা পুলিসকে মারধর করে। এবিষয়ে মুর্শিদাবাদ জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার(লালবাগ) রাসপ্রীত সিং বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। মারধর বা বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি।