ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
এদিন দুপুর ২টোয় প্রখর রোদেও রঘুনাথগঞ্জের বড় শিমূল অ্যাপলেক্স মাঠের সভাস্থল কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। আচ্ছাদনের ভিতরে যত মানুষ রয়েছেন, তার থেকে বেশি বাইরে রোদে পুড়ছেন বহু কর্মী-সমর্থক। ২টো ৫ নাগাদ কপ্টার নামতেই করতালিতে ফেটে পড়ল সভাস্থল। তার আগেই মঞ্চ থেকে খলিলুর সাহেবের হয়ে ভোট প্রার্থনা করেন মন্ত্রী আখরুজ্জামান, সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা, বিধায়ক জাকির হোসেন, মহম্মদ আলিরা। অভিষেক মঞ্চে উঠেই বিজেপির বিদায়ঘণ্টা বাজাতে মানুষের কাছে সমর্থন চান। তিনি বলেন, আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে চোখে চোখ রেখে লড়াই করছি। গত বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে উচিত শিক্ষা দিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদবাসী। এদিনও আপনারা যে ভালোবাসা আমাদের উপর বর্ষণ করলেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আগামী পাঁচ বছরে খলিলুর রহমানের হাত ধরে উন্নয়ন করেই আমি এই ঋণ পূরণ করব। তৃতীয়বার সরকারে আসার পর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চালু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি বাংলা থেকে জিতলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করবে বলে এদিন সরব হন অভিষেক। তিনি বলেন, যারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে চাইছে, তাদের উচিত শিক্ষা দেবেন তো মায়েরা? যারা মানুষকে এতদিন ধরে বঞ্চিত, লাঞ্ছিত করে রেখেছে, তাদের উচিত শিক্ষা দেবেন তো? ভরা সভাস্থল থেকে আওয়াজ ওঠে হ্যাঁ। তীব্র গরমে ঘেমে গেলেও মানুষের উদ্দীপনা দেখে একটানা আধ ঘণ্টার বেশি সময় বক্তব্য রাখেন অভিষেক। তাঁর ঝাঁঝালো বক্তব্য শুনে উদ্বুদ্ধ হন কর্মী-সমর্থকরা।
এদিন অভিষেক বলেন, দেশের যত বড় নেতা, প্রধানমন্ত্রী থেকে রাষ্ট্রপতি, রাজ্যপাল, হাইকোর্ট-সুপ্রিম কোর্ট যদি চায় আপনার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে। আমরা গ্যারান্টি দিচ্ছি, যতদিন আমাদের সরকার আছে কেউ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করতে পারবে না। এখন যেমন পাচ্ছেন আগামী দিনেও পাবেন। এটাই আমাদের গ্যারান্টি। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার বাড়িয়েই চলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার না দিতেন, তাহলে অনেকের সংসার হয়তো চলত। তবে আর্থিকভাবে চাপ সবারই বাড়ত।
এদিন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক তথা মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী মহম্মদ সেলিমকে পরিযায়ী নেতা বলে কটাক্ষ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, বাম ও কংগ্রেসের কাজ বিজেপির হাত শক্তিশালী করা। যাঁরা সিপিএমের বিরুদ্ধে আদর্শগতভাবে লড়াই করেছিলেন, সেই কংগ্রেসের নেতা কাস্তে হাতুড়ি তারা উত্তরীয় পরে হাতে লাল ঝান্ডা নিয়ে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে মিছিল করছেন। কাস্তে হাতুড়ির সঙ্গে মিশে গিয়েছে হাত আর অধীর চৌধুরী খাচ্ছেন সাঁইবাড়ির রক্তমাখা ভাত।