ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
উল্লেখ্য, এক মাস ধরে গভীর নলকূপের পাম্প খারাপ হয়ে যাওয়ায় জল উঠছিল না। ফলে চাষের জমিতে জল সরবরাহ বন্ধ ছিল। প্রচণ্ড দাবদাহে চাষে ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন নবদ্বীপ ব্লকের চরব্রহ্মনগর এলাকার চাষিরা। তাঁদের অভিযোগ, এখানে চাষের কাজে ব্যবহার করা গভীর নলকূপের পাম্পটির ট্রান্সফর্মারের সঙ্গে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ লাইন সংযোগ করায় পাম্পের মোটরের ক্ষতি হয়েছে। আর তাই জল তোলা যাচ্ছিল না। আর জলের অভাবে বেশ খানিকটা নষ্ট হয়েছে এলাকার প্রায় চারশো বিঘা জমির ধান, পাট সহ অন্যান্য ফসল। মঙ্গলবার ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় কৃষকরা। এরপরই ওইদিন বিডিও কার্যালয়ে এগ্রি ইরিগেশন দপ্তরের আধিকারিক, স্থানীয় বিদ্যুৎ পর্ষদের আধিকারিক এবং চাষিদের নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের রূপরেখা তৈরি করা হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বৃহস্পতিবার ওই পাম্পে নতুন করে মোটর যুক্ত করা হবে। সেই অনুযায়ী এগ্রি ইরিগেশনের দপ্তরের পক্ষ থেকে এদিন দুপুরে ডিপ টিউবওয়েলে নতুন মোটর লাগিয়ে দেওয়া হয়। এর ফলে চাষের জমিতে জল সরবরাহ চালু হয়। খুশি চাষিরা।
স্থানীয় চাষি নিতাই বিশ্বাস বলেন, এই মেশিন চালু হওয়ায় আমরা খুশি। তবে এই ট্রান্সফর্মার থেকে এলাকার প্রায় ৩৫টি বাড়ি এবং একটি পাওয়ার লুমে সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সেটি আলাদা করতে হবে। কেন না ভোল্টেজের কারণে ৬ মাসে চারবার মোটর পুড়ে গিয়েছে।
নবদ্বীপ চরমাজদিয়া-চরব্রহ্মনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান স্বপন দেবনাথ বলেন, এগ্রি ইরিগেশনের দপ্তর থেকে নতুন মোটর লাগানো হয়েছে। যথারীতি চাষের জমিতে জল সরবরাহ শুরু হয়ে গিয়েছে। এই মোটর যিনি লাগালেন সেই টেকনিশিয়ানদেরও কথা যে, ভোল্টেজের কারণে এই সমস্যা হচ্ছে। এদিন ঘটনাস্থলে এগ্রি ইরিগেশন দপ্তরের আধিকারিক, স্থানীয় বিদ্যুৎ পর্ষদের আধিকারিকরা আসেন।
ভোল্টেজ নিয়ে যে সমস্যা হয়েছিল। চাষিরা আলাদা ট্রান্সফর্মারের দাবি করেন। চাষিদের দাবির সঙ্গে আমিও সহমত হই। তারপর ওঁরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর জানান, আগামীকাল থেকে নতুন ট্রান্সফর্মার বসানোর কাজ শুরু হবে। নদীয়া জেলা কৃষিদপ্তরের উপ কৃষি অধিকর্তা দীপঙ্কর রায় বলেন, কৃষি দপ্তরের তরফ থেকে নতুন পাম্প বসানো হয়েছে। এর ফলে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়বে।