বিমা, শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে ধনাগমের যোগ। স্বামী, সন্তান ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্র এক প্রকার শুভ ... বিশদ
বোলপুর থানার অন্তর্গত সিয়ান-মুলুক গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বারকানাথপুর মৌজার ১১.৯একর জমিতে রাজ্য সরকারের পর্যটন দপ্তরের উদ্যোগে কয়েক মাস ধরে বাউল বিতান প্রকল্পের নির্মাণকাজ চলছে। যে জমিতে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে সেই সংলগ্ন এলাকাতেই আদিবাসীদের একটি দীর্ঘদিনের পুরানো শ্মশান রয়েছে। স্থানীয় তাঁতিজোল, মনেডাঙা, ঝর্নাডাঙা গ্রামের ১০০০-এরও বেশি আদিবাসী পরিবারের মৃতদেহ এই শ্মশানে সৎকার করা হয়। আদিবাসীদের দাবি, প্রকল্পের কাজ তাঁদের শ্মশানের প্রায় সাত বিঘা জমি অধিগ্রহণ করেই করা হচ্ছে। এই খবর জানতে পেরে মঙ্গলবার সকাল থেকে স্থানীয় আদিবাসীরা প্রকল্পের নির্মাণস্থলে গিয়ে হাতে বাঁশ, লাঠি নিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। তাঁরা দাবি জানাতে থাকেন, শ্মশানের জমি ছেড়ে দিয়ে প্রকল্প নির্মাণ করতে হবে। তা না হলে এখানে নির্মাণকাজ করতে দেবেন না তাঁরা। আদিবাসীদের বিক্ষোভের জেরে সাময়িকভাবে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে নির্মাণকর্মীরা এলাকা ছেড়ে চলে যান। আদিবাসীরা তাঁদের দাবিতে অনড় থাকেন। পরবর্তীতে জেলা প্রশাসনের তরফে তাঁদের আশ্বাস দেওয়া হলে আদিবাসীরা বিক্ষোভ উঠিয়ে নেন। যদিও এদিন নির্মাণকাজ বন্ধ ছিল। জমি ফিরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হলে আদিবাসীরা বিক্ষোভ উঠিয়ে নেন। তবে, তাঁদের দাবি যদি মানা না হয় সেক্ষেত্রে আগামীতে তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলন করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মীরাম হাঁসদা, বদি সোরেন বলেন, পূর্বপুরুষদের যুগ থেকে এখানেই আমাদের সম্প্রদায়ের মৃতদেহ সৎকার করা হচ্ছে। পাশে প্রকল্পের কাজ চলছে। কিন্তু, আমাদের শ্মশানের জমি অধিগ্রহণ করে সেখানে প্রকল্প নির্মাণ করা চলবে না। সেই দাবিতে এদিন আমরা বিক্ষোভ দেখালাম।
বোলপুর মহকুমা শাসক অভ্র অধিকারী বলেন, ওই স্থানে পর্যটন দপ্তরের নির্মাণকাজ চলছে। পাশেই একটি শ্মশান রয়েছে। আমরা সমস্ত বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সেখান থেকে সিদ্ধান্ত নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।