বিমা, শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে ধনাগমের যোগ। স্বামী, সন্তান ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্র এক প্রকার শুভ ... বিশদ
যদিও কলেজের অধ্যক্ষ পুরুষোত্তম প্রামাণিক বলেন, দল-মত নির্বিশেষে এটা একটা প্রতিবাদ মিছিল ছিল। ছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় নৈতিকতার খাতিরে মিছিলে অংশ নিয়েছিলাম। আর কোথায় কী ব্যানার রয়েছে সেটা আমার পক্ষে দেখা সম্ভব নয়।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে দুর্গাপুর গভর্নমেন্ট কলেজে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারাকর্মীরা জেএনইউ কাণ্ডের প্রতিবাদে একটি মিছিলের আয়োজন করেন। তাতে ব্যানারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও ছিল। কিন্ত তাতে অধ্যক্ষের অংশ নেওয়া নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত, দুর্গাপুরের ডিটিপিএস কলোনির মেয়ে ঐশী ঘোষকে মারধরের ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে। জেএনইউ ছাত্রনেত্রী ফি বৃদ্ধি নিয়ে প্রতিবাদ করায় রবিবার সন্ধ্যায় তাঁকে এবিভিপির দুষ্কৃতীরা মুখে কাপড় বেঁধে মারধর করে বলে অভিযোগ। খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাস্তায় নামে ছাত্র সমাজ। ঐশীর নিজের শহর দুর্গাপুরে সোমবার থেকে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু হয়। দুর্গাপুর আইটিআইয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ প্রতিবাদ করে বামেরা একাধিক প্রতিবাদ কর্মসূচি নেয়। কিন্তু এদিনের প্রতিবাদ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এদিন গভর্নমেন্ট কলেজের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা নেত্রীরা প্রতিবাদ মিছিলের আয়োজন করেন। ছাত্রছাত্রীরা একত্রিত হওয়ার আগেই কলেজের অধ্যক্ষ সহ একাধিক শিক্ষক মিছিলে পা মেলান। ওই মৌনমিছিলের সামনে ছিল তৃণমূলের ব্যানার। এরপরেই শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। মিছিল শেষে কলেজের অধ্যক্ষ কোনও বক্তব্য না রাখলেও একজন শিক্ষক বক্তব্য রাখেন। তাতে বিতর্ক আরও বাড়ে। ঘটনার সরব হয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানায় সিপিএম। তারা কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি জানায়।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, এখন জেএনইউতে যে কাণ্ড ঘটছে, রাজ্যে কয়েক বছর আগে থেকেই সেই কাণ্ড ঘটছে। এখানেও ছাত্ররা নিগৃহীত হন। কলেজের অধ্যক্ষকে বেঁধে রাখা হয়। তাই তৃণমূলের কোনও নৈতিকতা নেই এই ঘটনার প্রতিবাদ জানানোর। আর কলেজ প্রিন্সিপালের এই ঘটনা থেকেই প্রমাণ হয়। একটা বড় অংশ আজ শাসক দলের দাসে পরিণত হয়েছে। অনেকে আবার নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে এই কাজ করছেন। আমরা কলেজ অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি।
অপরদিকে, এই ঘটনায় ব্যাকফুটে থাকা বিজেপি বিষয়টিকে হাতছাড়া করতে নারাজ। তাই এবিভিপি প্রতিবাদে রাস্তায় নামছে। সংগঠনের দুর্গাপুর মহকুমার সম্পাদক স্বর্ণেন্দু হালদার বলেন, অধ্যক্ষ নিরপেক্ষ নন। আমরা এর প্রতিবাদে মেন গেটে অবস্থান-বিক্ষোভ করব। প্রয়োজনে কলেজে ধর্না দেব।
যদিও কলেজ অধ্যক্ষের এই ঘটনায় অন্যায় কিছু দেখছে না টিএমসিপি। সংগঠনের জেলা কার্যকরী সভাপতি ঋত্বিক রায় বলেন, কোনও দলের ব্যানারে মিছিল হয়নি। তৃণমূল নেত্রী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর ছবি থাকা কোনও অন্যায় নয়।
কলেজ অধ্যক্ষ বলেন, একটি প্রতিবাদ মিছিল আয়োজন করা হয়েছিল। ছাত্রীকে মারধরের ঘটনার প্রতিবাদ করার প্রয়োজন মনে হয়েছে। তাই অংশ নিয়েছিলাম।