যে কোনও ব্যবসার বৃদ্ধি ও অর্থকড়ি আয় বৃদ্ধি। ধর্মাচরণে মনযোগ বৃদ্ধি। বন্ধুর শত্রুতায় ক্ষতি। ... বিশদ
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিদ্বেষ ভাষণের সুর এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরের গলায়। রাজস্থানের নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দাবি করেছিলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে সব সম্পদ মুসলিম ও অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে বিলিয়ে দেবে।’ হিমাচল প্রদেশের হামিরপুরের নির্বাচনী জনসভায় অনুরাগের মন্তব্য, ‘আপনার সন্তানের সম্পত্তি মুসলিমদের হাতে তুলে দিতে চায় কংগ্রেস।’ কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারে বিদেশি শক্তির হাত রয়েছে বলেও ওই সভায় দাবি করেন অনুরাগ। তাঁর অভিযোগ, ‘কংগ্রেসের হাতের সঙ্গে বিদেশি শক্তি হাত মিলিয়েছে। তারা দেশের পরমাণু ভাণ্ডার নষ্ট করে ফেলতে, দেশকে জাতপাত ও আঞ্চলিকতায় ভাগ করে ফেলতে চায়।’ এর আগে কংগ্রেসের ইস্তাহারে মুসলিম লিগের ছাপ রয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন মোদি। হামিরপুরে অনুরাগ বলেন, ‘টুকরে টুকরে গ্যাং কংগ্রেসকে সম্পূর্ণভাবে ঘিরে ফেলেছে। কংগ্রেসের আদর্শও কব্জা করে ফেলেছে ওই গ্যাং। আপনাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যে আপনার সন্তানের সম্পত্তি তার কাছেই থাকবে নাকি মুসলিমদের হাতে থাকবে।’ যদিও অনুরাগের দাবি, কেন্দ্র মুসলমিদের সব সুবিধা দিয়েছে। তবে তা ধর্মের ভিত্তিতে নয়, অধিকারের ভিত্তিতে দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর ওই বিদ্বেষ ভাষণের পর দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়। যদিও এখনও এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তরফে সরাসরি মোদির বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নাম না করে শুধু দলের তারকা প্রচারকদের বক্তৃতা দেওয়ার সময় সতর্ক থাকার কথা বলে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডাকে চিঠি দেয় কমিশন। তবে মেরুকরণ নিয়ে বিজেপি যে পিছু হঠতে নারাজ তা বারবার বুঝিয়ে দিচ্ছেন দলের নেতারা। প্রধানমন্ত্রীর রাজস্থানের সভার বিতর্কিত ভাষণটি ফের বিজেপির এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করা হয়। নাড্ডাও নিজের এক্স হ্যান্ডলে ভিডিওটি পোস্ট করেন। একইসঙ্গে তিনি লেখেন, কংগ্রেস অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে সম্পত্তি ভাগ করে দিতে চায়। দেশের সম্পদে মুসলিমদের প্রথম অধিকার বললেও প্রধানমন্ত্রী দুঃস্থ মানুষদেরই এই অধিকার দিতে চান বলেও ওই পোস্টে লেখেন নাড্ডা। কংগ্রেস তোষামোদের রাজনীতি করছে বলেও দাবি করেছেন বিজেপি সভাপতি।