নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর চলন্ত বাসে সেই নৃশংস গণধর্ষণের কথা ভাবলেই এখনও শিউরে ওঠে দেশের মানুষ। সাত-সাতটা বছর ধরে জেলে কাটাচ্ছে নির্ভয়ার নৃশংস খুনিরা। দোষীদের ফাঁসি কার্যকরের দিন এগিয়ে আনার দাবিতে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল নির্ভয়ার পরিবার। গত ১৮ ডিসেম্বর সেই মামলার শুনানি ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত রাখা হয়েছিল। সেদিন আদালতের বাইরে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন নির্ভয়ার মা। এদিন রায় ঘোষণার পরও তাঁর চোখে জল ছিল। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর এই কান্না অনেকটাই তৃপ্তির।
এদিন রায় ঘোষণার পর এজলাসে কান্নায় ভেঙে পড়েন মুকেশের মা। বারবার ছেলের প্রাণভিক্ষার আর্জি জানান আদালতের কাছে। নির্ভয়ার মায়ের সামনে গিয়ে শাড়ির আঁচল পেতে ছেলের জীবনভিক্ষা চান। কাঁদতে কাঁদতেই বলেন, ‘আমার ছেলেকে ক্ষমা করে দিন। আমি আপনার কাছে ওর প্রাণভিক্ষা চাইছি।’ চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি নির্ভয়ার মাও। কান্নাভেজা গলায় উত্তর দেন, ‘আমারও তো একটা মেয়ে ছিল। ওর সঙ্গে যা হয়েছিল, সেটা কী করে ভুলে যাব? আমি এই রায়ের জন্য সাত বছর ধরে অপেক্ষা করছি।’ বিচারকও মুকেশের মায়ের কাতর আবেদনে কান দেননি। পরে আদালতের বাইরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি অভিযোগ করেন, ‘গরিব বলেই আমার ছেলেকে ফাঁসানো হচ্ছে।’ এদিন শুনানি শুরুর সময় মুকেশের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী এম এল শর্মা। গত শুনানিতে মুকেশের জন্য আদালতের পক্ষ থেকে নিযুক্ত আইনজীবী বৃন্দা গ্রোভার এর প্রতিবাদ জানান। দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর আদালত আইনজীবী এম এল শর্মাকে মুকেশের সম্মতি দেওয়া ওকালতনামা জমা দিতে বলেন।
হায়দরাবাদে ধর্ষণে অভিযুক্তদের এনকাউন্টারের পর থেকেই দেশজুড়ে নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের ফাঁসির দাবি জোরদার হয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরেই ফাঁসির প্রস্তুতি চলছে তিহার জেলে। চার ধর্ষকের ফাঁসির রায়ের পর্যালোচনার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। নতুন করে আজকের রায় সংশোধনের আর্জি জানানো হলেও তা খারিজ হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর রাতে গণধর্ষণের পর ‘নির্ভয়া’ ও তাঁর পুরুষ বন্ধুকে বাস থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। পরে সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে মৃত্যু হয় ২৩ বছরের প্যারামেডিক্যাল ছাত্রীর। গ্রেপ্তার করা হয় ছয় অভিযুক্তকে। বিচার চলাকালীন এক অভিযুক্ত জেলেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করে। এক নাবালক অভিযুক্তকে তিন বছরের জন্য জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়। বর্তমানে সে মুক্ত।