নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
কী কী সমস্যা হচ্ছে এটিএম বা ডেবিট কার্ডে? আরবিআইয়ের তথ্য বলছে, এ বিষয়ে সবচেয়ে এগিয়ে এটিএম থেকে টাকা না বেরলেও, অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা বেরিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। গত আর্থিক বছরে সেই সংখ্যা প্রায় ২০ হাজার। এক্ষেত্রে সাধারণত কিছুক্ষণ বা কিছুদিনের মধ্যে অ্যাকাউন্টে টাকা ফিরে আসে। কিন্তু এই অভিযোগগুলিতে টাকা ফেরেনি। এমনকী সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কও তা নিয়ে মাথা ঘামায়নি। হারিয়ে যাওয়া কার্ড বা ক্লোন করা কার্ড থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার ঘটনায়। অথচ ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে সেই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ১০০টির কাছাকাছি।
অনেক গ্রাহকের কাছেই ফোন আসে, যেখানে নিজেকে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার বা অফিসার হিসেবে দাবি করে কোনও প্রতারক। তারা বলে থাকে, আপনার এটিএম কার্ডটি ব্লক হয়ে গিয়েছে। দয়া করে আপনার পিন বলুন, যাতে আমরা কার্ডটি আবার চালু করতে পারি। অনেকেই সেই পিন দিয়ে দেন। তারপরই অ্যাকাউন্ট থেকে গায়েব হয়ে যায় টাকা। কিন্তু সাম্প্রতিককালে গ্রাহকের একাংশ অভিযোগ করছেন, ডেবিট কার্ডের পিন জানতে চেয়ে ফোন আসেনি বা কাউকে তিনি গোপন পিনটি দেননি। এমনকী ব্যাঙ্কের কোনও তথ্যই তিনি কোনও ব্যক্তিকে দেননি। অথচ তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে আচমকা উধাও হয়ে গিয়েছে টাকা। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলছে, এই ধরনের প্রতারণা বাড়ছে লাফিয়ে। গত আর্থিক বছরে আরবিআইতে এই অভিযোগ জমা পড়েছে ৪ হাজার ৪৮১টি। তার আগে সেই অভিযোগ ছিল ২ হাজার ৩৫৬টি।
কী অবস্থা মোবাইল ব্যাঙ্কিং বা ইলেকট্রনিক লেনদেন সংক্রান্ত প্রতারণার? পরিস্থিতি সেখানেও ভয়াবহ। তথ্য বলছে, এক বছরের তফাতে অভিযোগ বেড়েছে ৬ হাজার ৩০০টি। গত আর্থিক বছরে তা ১৫ হাজার ছুঁইছুঁই। ক্রেডিট কার্ড প্রতারণাও ফুলে ফেঁপে উঠছে ক্রমশ। আরবিআই বলছে, প্রায় ১৩ হাজার ৩০০টি অভিযোগ জমা পড়েছে তাদের দপ্তরে।