নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
কেজরিওয়ালের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। আর সেই সম্পর্ককেই ভোটে কাজে লাগাতে চাইছে আপ। সেই মতো তৃণমূলনেত্রী তাঁর সময় মতো রাজধানী দিল্লিতে এসে অন্তত একদিন ভোট প্রচার করলে কেজরিওয়ালের প্রভূত উপকার হবে বলেই মনে করে আপ। বিশেষত, চিত্তরঞ্জন পার্ক, করোল বাগ, চাঁদনি চকের মতো যেসব এলাকায় বাঙালি বসতি রয়েছে, সেখানে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে এনে যৌথ সভা করার পরিকল্পনা করেছেন কেজরিওয়াল। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ভোট।
দিল্লিতে কংগ্রেস নির্বাচনে লড়লেও কেজরিওয়ালের মূল লড়াই কার্যত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। কারণ, এখনও পর্যন্ত খবর, দিল্লিতে বিজেপি কাউকেই মুখ্যমন্ত্রী মুখ হিসেবে তুলে ধরবে না। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের কাজের ফিরিস্তি সামনে রেখেই কেজরিওয়ালকে কুপোকাৎ করতে চান অমিত শাহ। ওদিকে, দিল্লির উন্নয়নে কেজরিওয়ালও তাঁর পাঁচ বছরের কাজের খতিয়ানকে অস্ত্র করেই ময়দানে নামছেন। এর সঙ্গে মোদি মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো ভয়ডরহীন, লড়াকু এবং এই মুহূর্তে গোটা দেশে কট্টর মোদি বিরোধী ব্যক্তিত্বকে পাশে পেলে সোনায় সোহাগা!
তাই দিল্লির ভোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রচারে আনতে চাইছেন কেজরিওয়াল। ২০২১ সালে বাংলার ভোটারদের তৃণমূলমুখী অবস্থানকে ধরে রাখতে নেপথ্যে কাজ করছেন ‘ভোট গুরু’ প্রশান্ত কিশোর বা পিকে। দিল্লিতে কেজরিওয়ালের ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকলেও এখানেও তাঁর হয়ে কাজ করছেন তিনি। তাই সেই সূত্রটিও দিল্লির মোদি বিরোধী ভোট প্রচারে মমতা-কেজরিওয়ালকে এক মঞ্চে হাজির করানোর ক্ষেত্রেও কাজে দেবে বলেই রাজনৈতিক মহলের মত।
উল্লেখ্য, গতবার আম আদমি পার্টিকে ভোট দেওয়ার জন্য ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি ট্যুইট করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশের প্রয়োজন এবং দিল্লির উন্নয়নে দিল্লির ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি আপকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। এবার কেজরিওয়াল চাইছেন, আম আদমি পার্টির ভোটের স্লোগান ট্যুইটের পাশাপাশি জনসভাতেও তা বলুন মমতা। সেটি হল, আচ্ছে বিতে পাঁচ সাল/লাগে রহো কেজরিয়াল!