নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
রবিবার রাতে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলা চালায় একদল অজ্ঞাতপরিচয় মুখোশধারী দুষ্কৃতী। গুরুতর জখম হন বহু পড়ুয়া। ছাড় পাননি অধ্যাপক-অধ্যাপিকারাও। হামলার এই ঘটনার পরেও উপাচার্য কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় বা বিবৃতি না দেওয়ায় সমালোচনায় সরব হন পড়ুয়ারা। তাঁর পদত্যাগের দাবিও ওঠে। সব মহল থেকে ওঠা চাপের মুখেই এদিন বিবৃতি দেন জগদীশ কুমার। তিনি বলেন, ‘যে সমস্ত পড়ুয়া হামলায় জখম হয়েছেন, আমরা তাঁদের জন্য সমব্যথী। রবিবার যে ঘটনা ঘটেছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিটি বিষয় আলোচনা ও বিতর্কের মাধ্যমে সমাধান করা হয়। হিংসা কোনও কিছুর সমাধান নয়। অতীতে যা হয়েছে, তা ভুলে গিয়ে আমাদের নতুন এক সূচনা করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসে, তার জন্য যাবতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসার জন্য আমি সমস্ত পড়ুয়াদের কাছে আর্জি জানাচ্ছি।’
হামলার ঘটনা নিয়েও মুখ খুলেছেন উপাচার্য। জগদীশ কুমার জানান, হস্টেল ফি বৃদ্ধি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন পড়ুয়াদের একাংশ। এর মধ্যেই শীতকালীন সেমেস্টার রেজিস্ট্রেশনের বিরোধিতা করে কম্পিউটার সার্ভার রুমে ভাঙচুর চলে। গত শনিবার সার্ভারগুলি অকেজো হয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে আমরা একাধিকবার ছাত্রনেতাদের সঙ্গে আলোচনাও করেছি। কম্পিউটার সার্ভার নিয়ে ঝামেলার জেরেই রবিবারের হামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।