নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
রবিবার জেএনইউতে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। কাপড়ে মুখ ঢেকে বেধড়ক পেটানো হয় ছাত্রছাত্রী, অধ্যাপক অধ্যাপিকাদের। অভিযোগ, এই হামলার পিছনে রয়েছে এবিভিপি। ঘটনার প্রতিবাদে দেশজুড়ে প্রতিবাদ আন্দোলনে নেমেছে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন। এদিন আমেদাবাদের পালাদি এলাকায় এবিভিপি দপ্তরের সামনে সেই আন্দোলনের কর্মসূচি নিয়েছিল এনএসইউআই। সেই মতো দপ্তরের সামনে জমায়েত হতে থাকেন সংগঠনের কর্মীরা। এনএসইউআইয়ের এক কর্মীর কথায়, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই এবিভিপি’র অফিসের সামনে হাজির হয়েছিলাম। বিক্ষোভ শুরু হতেই ওরা লাঠি, পাইপ নিয়ে আমাদের উপর চড়াও হয়। ছোঁড়া হয় ইট-পাথর। লাঠির ঘায়ে আমাদের সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নিখিল সাভানি গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁর মাথায় চোট লেগেছে। তড়িঘড়ি করে সাভানিকে স্থানীয় ভিএস জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’ এনএসইউআইয়ের আর এক ছাত্রনেতা ভাবিক সোলাঙ্কির অভিযোগ, ‘পুলিসের সামনেই এবিভিপির কর্মীরা হামলা চালায়। পুলিস নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছিল। যা দেখে মনে হয়েছে, পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েই আমাদের উপর হামলা করা হয়েছে।’ জখম ছাত্রনেতা সাভানি কংগ্রেস নেতা হার্দিক প্যাটেলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। কড়া ভাষায় ঘটনার নিন্দা করেছেন হার্দিক।
স্থানীয় বেশ কয়েকটি টিভি চ্যানেল সংঘর্ষের তাজা ফুটেজ সম্প্রচার করেছে। তাতে দেখা গিয়েছে, এবিভিপি অফিসের সামনে জমায়েত হতেই একদল লোক লাঠিসোঁটা ও পাইপ নিয়ে তেড়ে আসে। উভয়পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। লাঠি দিয়ে মারধরও করতে দেখা যায় সাভানিকে। পাশেই দাড়িয়ে ছিলেন কয়েকজন পুলিসকর্মী। যদিও পুলিসের বক্তব্য, সংঘর্ষের খবর পেয়েই বিশাল পুলিস বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে তারা যথাসাধ্য চেষ্টা করে।
এদিকে, সংঘর্ষের পিছনে এনএসইউআইয়ের ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে এবিভিপি। সংগঠনের নেতা নরেশ দেশাই বলেছেন, ‘বিক্ষোভের নামে দুষ্কৃতীদের এনে হামলা চালানোর ছক করেছিল এনএসইউআই। আমাদের অফিসে ভাঙচুর চালানোই ওদের লক্ষ্য ছিল। ঠিক যেভাবে জেএনইউতে এবিভিপি কর্মীদের উপর চক্রান্ত করে হামলা চালানো হয়েছিল, এদিনও সেটাই করতে চেয়েছিল এনএসইউআইয়ের কর্মীরা। আমাদের পাঁচজন কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন।’ আগাম পরিকল্পনা ছাড়া এই ধরনের হামলা চালানো সম্ভব নয় বলে মত দেশাইয়ের। পুলিস জানিয়েছে, উভয়পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। রাত পর্যন্ত গ্রেপ্তারের কোনও খবর নেই।