গুরুত্বপূর্ণ কাজে সাফল্য। আর্থিক ও বিদ্যাবিষয়ে দিনটি শুভ। শুত্রুভাবাপন্নদের এড়িয়ে চলুন। ... বিশদ
উল্লেখ্য, এদিন আদালতে গরহাজির ছিলেন প্রিয়াঙ্কার বাবা এবং এই মামলায় অভিযুক্ত অশোক টোডি। অভিযুক্ত এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিসকর্তার আইনজীবী নবকুমার ঘোষ আদালত চত্বরে দাঁড়িয়ে জানান, ‘৩৩তম এই সাক্ষীর সরকারি তরফে সাক্ষ্য এদিন শেষ হলেও তাঁর জেরা পর্ব বাকি রয়েছে। পরবর্তী শুনানি ১২ জুন।’ আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে দু’বার সমন জারি করে আদালত। কিন্তু তখন প্রিয়াঙ্কার ঠিকানা খুঁজে পাইনি সিবিআই। ফলে তাঁর সাক্ষ্যদান পর্বের শুনানি পিছিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত তদন্তকারী সংস্থা তাঁকে সমন ধরানোয় এদিন তিনি তাঁর আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে হাজির হন। শুনানি চলে ঘণ্টাখানেক। তা শেষ হওয়ামাত্রই দ্রুত গাড়িতে উঠে আদালত চত্বর ছাড়েন প্রিয়াঙ্কা।
এর আগে এই মামলায় সাক্ষ্য দিয়ে গিয়েছেন রিজওয়ানুর রহমানের মা, তাঁর বিধায়ক দাদা রুকবানুর রহমান এবং তাঁর কাকারা। এদিন শুনানি চলে বিচারভবনের বন্ধ এজলাসে। তখন অনেকেই সেখানে ভিড় করার চেষ্টা করেন। পুলিস তাঁদের সরিয়ে দেয়।আদালত সূত্রের খবর, কম্পিউটার গ্রাফিক্স প্রশিক্ষক রিজওয়ানুরের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে আইন মেনে প্রিয়াঙ্কাকে বিয়েও করেন তিনি। অভিযোগ ওঠে, পুলিস জোর করে স্বামী‑স্ত্রীকে আলাদা করে দেয়। এরপরই ওই যুবক আত্মহত্যা করেন। ২০০৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পাতিপুকুর রেল স্টেশনের কাছে রিজওয়ানুরের মৃতদেহ পাওয়া যায়। তা নিয়ে শোরগোল সৃষ্টি হয় রাজ্যজুড়ে। ওই যুবকের পরিবারের অভিযোগ ছিল, তাঁকে ‘খুন’ করা হয়েছে। তদন্তে নামে সিবিআই। পরে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থা আদালতে চার্জশিট দিয়ে জানায়, রিজওয়ানুরের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পিছনে রয়েছে আত্মহত্যার প্ররোচনা। সেই মামলায় চার্জ গঠনসহ শুরু হয় বিচার। নানা কারণে দেরি হলেও শেষ পর্যন্ত উচ্চ আদালতের নির্দেশে গতি আসে শুনানিতে।