ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বাংলার কোটি কোটি মহিলার স্বনির্ভরতার পরিসর বাড়িয়েছে, সেই প্রকল্প বন্ধের হুমকি একজন মহিলাই দিচ্ছেন—বিষয়টি নিয়ে শুধু উত্তরবঙ্গে নয়, রাজ্যজুড়ে আলোড়ন শুরু হয়েছে। এই হুমকির প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে তৃণমূল। জোড়াফুল শিবির পরিচালিত সিতাই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সঙ্গীতা রায় বসুনিয়ার কথায়, ‘বিজেপি শাসিত রাজ্যে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নেই। তাই এই বাংলাতেও বন্ধ করতে চাইছে ওরা। বিজেপির এই ঔদ্ধত্যের যোগ্য জবাব ভোটেই দেবেন বাংলার মা-বোনেরা।’ দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে যে সভা থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ এবং বাংলার সরকারকে উৎখাত করার ‘পরিকল্পনা’র আগাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে লোক জোগাড় করতেই অবশ্য হিমশিম খেতে হয়েছে বিজেপিকে। জমায়েতের আকার কেমন ছিল, তা প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের কথাতেই স্পষ্ট হয়েছে। তাঁর ভাষণ শুরুর সময়ও সভাস্থল ‘ফাঁকা’! বক্তৃতা থামিয়ে নিশীথকে বলতে শোনা যায়—ড্রোন শট নেবেন না, বন্ধ করুন! জেলা বিজেপি সভাপতি সুকুমার রায় অবশ্য ভিড় কম হওয়ার ‘রাজনৈতিক ব্যাখ্যা’ দিয়েছেন। তাঁর দাবি, ‘দিনহাটার সভায় যাতে সাধারণ বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা আসতে না পারেন, তার জন্য গাড়ি বন্ধ করে দিয়েছিল তৃণমূল। আমাদের কর্মী-সমর্থকরা নিজেদের গাড়ি আর টোটায় চেপে সভায় এসেছেন।’
দিনহাটার সভা থেকে এদিন কী কী হুমকি দিল বিজেপি? দীপা চক্রবর্তীর প্রথম হুমকি, তিন মাসের মধ্যে বন্ধ করা হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। দ্বিতীয় হুমকি, এবারের লোকসভা নির্বাচনে ৩৫টার বেশি আসন পেলে ২০২৫ সালেই উৎখাত হবে তৃণমূল সরকার। এ রাজ্যে বিজেপির সরকার গঠন শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাঁর কথায়, ওই ভিক্ষার টাকার লোভ ভারতীয় জনতা পার্টির মহিলাদের নেই। সাধারণ ঘরের মহিলাদেরও নেই। ‘টুপি পরানো’র জন্যই এই হাজার টাকার গল্প!