ব্যবসা ভালো হবে। কেনাবেচা ক্রমশ বাড়বে। অর্থাগম ভাগ্য আজ অনুকূল। দেহে দুর্বলতা। ... বিশদ
গত ৯ ফেব্রুয়ারি সিওপিডি, নিউমোনিয়া, ফুসফুসের সংক্রমণজনিত অসুস্থতার কারণে পার্থসারথিকে এম আর বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে প্রবীণ অভিনেতাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। আর্টিস্ট ফোরামের পক্ষ থেকে জানানো হয় পরিবারের তরফ থেকে ভাইঝি ছাড়া অসুস্থ অভিনেতার সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেননি। আর্টিস্ট ফোরামের তরফেই অভিনেতার চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়া হয়। অভিনেতা বাপি দাস সর্বক্ষণ তাঁর দেখাশোনা করতেন।
পার্থসারথি দেবের অভিনয়ের হাতেখড়ি নাট্য পরিচালক বিদ্যুৎ নাগের কাছে। বিদ্যুতের নাট্যদল ‘প্রয়াস’-এর সক্রিয় সদস্য ছিলেন তিনি। ‘অশ্বমেধ’, ‘রতিকান্তর রঙ্গ’ প্রভৃতি মঞ্চ সফল নাটকের মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন পার্থ। পরবর্তীতে ‘সমকালীন শিল্পীদল’- এ অম্বর রায়ের পরিচালনায় পার্থর অভিনীত ‘তোমাকে চাই’ নাটকও দর্শক মহলে সাড়া ফেলেছিল। ‘পটলবাবু ফিল্মস্টার’ তাঁর অন্যতম মঞ্চসফল নাটক। অসুস্থ হওয়ার আগে পর্যন্ত ধারাবাহিকে নিয়মিত অভিনয় করেছিলেন তিনি। চার দশকের অভিনয় জীবনে প্রায় দুশোটির মতো বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছেন পার্থ। প্রথম ছবি পুর্ণেন্দু পত্রী পরিচালিত ‘ছোট বকুলপুরের যাত্রী’। ‘লাঠি’, ‘কাকাবাবু হেরে গেলেন’ সহ হালে ‘বগলামামা যুগ যুগ জিও’তেও তিনি দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন।
শনিবার দুপুরে অভিনেতার মরদেহ টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে নিয়ে আসা হয়। পার্থর শেষযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন দেবেশ রায় চৌধুরী, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, দেবদূত ঘোষ, কৌশিক বন্দ্যোপাধ্যায়, পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায়, বাসবদত্তা চট্টোপাধ্যায়, পায়েল দে প্রমুখ। শনিবারই অভিনেতার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে।