নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
এদিন সকাল থেকেই শিয়ালদহ, হাওড়া শাখার একাধিক স্টেশনে ট্রেন অবরোধ শুরু হয়। এরমধ্যে হৃদয়পুর, দক্ষিণ বারাসত এবং আক্রা ও নুঙ্গি স্টেশনের মাঝে রেল লাইন থেকে বোমা উদ্ধার হয়। তা উদ্ধার করে নিয়ে যায় আরপিএফ। কলকাতার বড়বাজার, কলেজ স্ট্রিট, বউবাজার, এন্টালিতে ধর্মঘটের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। বেশিরভাগ দোকানই বন্ধ। ব্যাঙ্ক কর্মী ও আধিকারিকদের বৃহত্তম সংগঠনও ধর্মঘটে শামিল হয়েছে। তার জেরে গোটা রাজ্যেই ব্যাঙ্কিং পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে।
এদিন সকাল থেকে ধর্মঘট ঘিরে সুজাপুর, বর্ধমান, যাদবপুরের মতো বেশ কয়েকটি জায়গায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মালদহের সুজাপুরে ধর্মঘট সমর্থনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়ে পুলিস। তাদের দিকে উড়ে আসে পাথর। পুলিসের বিরুদ্ধে শূন্যে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। সমর্থনকারীরা অতিরিক্ত পুলিস সুপার, ডেপুটি পুলিস সুপার সহ আরও বেশ কয়েকজন পদস্থ পুলিস কর্তার গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুন লাগানো হয় কালিয়াচকের একটি হোটেলেও। যাদবপুরেও পুলিস ধর্মঘট সমর্থনকারীদের হটাতে গেলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আটক করা হয় সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী সহ বেশ কয়েকজন বাম নেতা, কর্মীকে। তাঁর নেতৃত্বে একটি মিছিল ৮বি বাস স্ট্যান্ডের কাছে আসতেই পুলিস সুজনবাবুকে আটক করে। এরপরই পরিস্থিতি রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে পুলিসের গার্ডরেল ভেঙে দেন ধর্মঘট সমর্থনকারীরা। ভাঙচুর চালানো হয় বাসেও। তবে পুলিস পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, বর্ধমানে শিক্ষকদের স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়ায় এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদকের উপর চড়াও হন অভিভাবকরা। তাঁকে মাটিতে ফেলে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে অভিভাবকদের বিরুদ্ধে। দুর্গাপুর, আসানসোল, শ্রীরামপুর, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, শিলিগুড়িতেও দফায় দফায় পথ, রেল অবরোধ হয়েছে। পুলিস অবরোধ হটাতে গেলে সংঘর্ষ বাধে।
তবে ধর্মঘটে তেমন সাড়া দেননি রাজ্য সরকারি কর্মীরা। বেলা ২টো পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে উপস্থিতির হার শতকরা প্রায় ৯৫ শতাংশ। নবান্নের ৯৮ শতাংশ কর্মীই কাজে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মোট ১৭০ জন ধর্মঘট সমর্থনকারী গ্রেপ্তার হয়েছেন। সচল রয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি তালুক সল্টলেক সেক্টর ফাইভ ও রাজারহাট নিউ টাউন। হলদিয়া শিল্পাঞ্চলেও ধর্মঘটের কার্যত কোনও প্রভাবই পড়েনি।