বিমা, শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে ধনাগমের যোগ। স্বামী, সন্তান ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্র এক প্রকার শুভ ... বিশদ
এদিন পৌনে একটায় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে গঙ্গাসাগর থেকে পাথরপ্রতিমায় সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন মমতা। হেলিপ্যাড থেকে সভাস্থলে মানুষের ভিড় দেখে আপ্লুত হয়ে যান তিনি। মহিলারা শঙ্খ বাজাতে থাকেন। এদিনের সভায় মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। বুলবুলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের হাতে ক্ষতিপৃরণ তুলে দেওয়ার পাশাপাশি ৭০০ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস ও উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। ৬২ জন উপভোক্তার হাতে নানা পরিষেবা তুলে দেন তিনি।
এদিনও এনআরসি, এনপিআর, সিএএ নিয়ে রণংদেহি মূর্তিতে কেন্দ্রকে আক্রমণ করেন মমতা। তিনি বলেন, এক এক জন এক এক রকম কথা বলছেন। তাঁরা ভাবছেন খুব চালু। সকালে একরকম বলছেন, বিকেলে আর একরকম বলছেন। একজন বলছেন, এনআরসি হবে না, একজন বলছেন এনআরসি হবে। এখন আবার বলা হচ্ছে, অনলাইনে হবে। অনলাইনে কি ভাত রান্না হবে? আমি জানিয়ে দিচ্ছি, অনলাইনেও হবে না। অনলাইনে আবেদন করলে ফিজিক্যালি হাজির হতে হয়। এখানে ক্যা, কু, এনপিআর, এনআরসি-কিচ্ছু হবে না। সকলে নির্ভয়ে থাকুন। সবধর্মের মানুষ একসঙ্গে থাকবে। সর্বধর্মের কথা বলেছেন ঠাকুর রামকৃষ্ণ, স্বামী বিবেকানন্দ। আমরা সেই নীতিতে বিশ্বাসী। এখান থেকে কাউকে তাড়াতে পারবে না। আমি আপনাদের পাহারাদার। বুলবুলের সময় যেমন পাহারা দিয়েছি, তেমনি আপনাদের পাহারা দেব। আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে আপনাদের তাড়াতে হবে।
তবে তিনি পরামর্শের সুরে বলেন, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী ভালো করে করুন। ভোটার তালিকায় ঠিক করে নাম তুলুন। অনেক সময় ভোটার তালিকায় দেখবেন, আপনার নাম, বাবার নাম ঠিক আছে কি না। ভুল থাকলে সেগুলি সংশোধন করে নিন। আমরা এখানকার নাগরিক। কারও দয়ায় নেই। এখানে আমরা জন্মেছি, পড়াশুনো করেছি, চাষ করি, এখানে কাজ করি, এখানেই আমাদের জীবন। আবার কীসের প্রমাণপত্র? আমাদের চেয়ে বড় নাগরিক নেই। আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। আপনাদের অধিকার কেড়ে নেবে আর আমি ললিপপ খাব? কোনও প্রচারে ভয় পাবেন না। আপনাদের দায়িত্ব আমার। কোনও চিন্তা করবেন না, আমার উপর ছেড়ে দিন। আমি আপনাদের পাশে আছি। আমিই পাহারা দেব।