নিকটজনের স্বাস্থ্য সমস্যায় মানসিক অস্থিরতা। মুদ্রণ বা সংবাদপত্রের ব্যবসা,বৃত্তি শিক্ষাকেন্দ্রের পরিচালনায় সাফল্য। ... বিশদ
আগামীকাল বেলা ১২টায় দু’ঘণ্টার জন্য অধিবেশন বসছে। দেশে আরও ১০ বছর এসসি-এসটি সংরক্ষণ সুনিশ্চিত করতে সম্প্রতি সংসদের উভয়কক্ষে পাশ হওয়া ১২৬তম সংবিধান সংশোধনীটিকে সবুজ সঙ্কেত দিতেই এই অধিবেশন। ওই সংশোধনীতেই অবশ্য অ্যাংলো ইন্ডিয়ান সম্প্রদায়ের সংসদ ও বিধানসভায় প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগের বিলোপ ঘটানো হয়েছে। সংসদের তরফে রাজ্যসভার যুগ্মসচিবের চিঠি পাওয়ার পরই রাজ্য তড়িঘড়ি এই অধিবেশন ডাকার সিদ্ধান্ত নেয়। তবে অনুমোদনের বিষয়টি অনেকটা রুটিন পর্যায়ের বলে বিরোধীরা চাইছে, এই সুযোগে সিএএ নিয়ে বিধানসভায় সর্বদলীয় প্রস্তাব পাশ করা হোক।
অবশ্য এর পিছনে বাম-কংগ্রেসের রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই দুই বিরোধী শিবির মনে করে, সিএএ ইস্যুতে মমতা প্রকাশ্যে মোদি সরকারের বিরোধিতা করছেন ঠিকই। কিন্তু তা নিয়ে কেরলের বিধানসভার মতো সর্বদলীয় প্রস্তাব গ্রহণ করার উদ্যোগ নিচ্ছেন না নির্দিষ্ট কারণেই। তাই এই সুযোগে তাঁকে এবং শাসক দলকে প্যাঁচে ফেলার চেষ্টা করতে চায় তারা। এদিন মান্নান-সুজন সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, এর আগে এনআরসি নিয়ে আমরা ২৯ আগস্ট এই ধরনের প্রস্তাব গ্রহণের জন্য নথি জমা দিই। তারপর বেশ কয়েকদিন ঝুলিয়ে রেখে অবশেষে তাঁদের জমা দেওয়া বয়ানকে সামান্য পরিবর্তন ঘটিয়ে সরকারপক্ষ সেই প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে পাশ করানোর উদ্যোগ নেয়। আমরা বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে তাতে সম্মতি জানাই। কিন্তু তারপর মুখ্যমন্ত্রী দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে একান্তে বৈঠক করলেও এনিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। তাই সিএএ নিয়ে তিনি মুখে অনেক কিছু বললেও ধন্দ থেকেই যাচ্ছে। পরিষদীয়মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য এই অভিযোগ খণ্ডন করে বলেছেন, এনআরসি নিয়ে প্রস্তাব গ্রহণ করে আমরাই দেশের মধ্যে নজির তৈরি করেছি। বাম-কংগ্রেস সস্তা রাজনীতি করার জন্য একটা অধ্যায় নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে।