বিমা, শেয়ার প্রভৃতি ক্ষেত্র থেকে ধনাগমের যোগ। স্বামী, সন্তান ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্র এক প্রকার শুভ ... বিশদ
গণসংগঠনগুলি সাধারণ মানুষের রুজি-রোজগার সংক্রান্ত ১২ দফা দাবির সমর্থনে বেশ কয়েকমাস আগেই দেশব্যাপী এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। পরে সিএএ এবং এনআরসি বিরোধিতার ইস্যু তালিকায় যুক্ত হয়। আরএসএস এবং বিজেপি প্রভাবিত বিএমএস ছাড়া সবক’টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন এই ধর্মঘটে শামিল হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে সিপিএম ও কংগ্রেস ধর্মঘটের পক্ষে একযোগে রাস্তায় নেমেছে। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র মঙ্গলবার বলেন, ধর্মঘট যাতে সফল হয় তার জন্য শান্তিপূর্ণভাবে সবরকম উদ্যোগ নেওয়া হবে। ধর্মঘটের সক্রিয় বিরোধিতা করে রাজ্য সরকার ও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের মুখোশ খুলে দিয়েছে বলে দুই বিরোধী দলের অভিযোগ। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বিরোধীদের এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বলেন, যে ইস্যুগুলি নিয়ে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে, তার সমর্থনে তৃণমূল অনেক আগে থেকে রাস্তায় নেমেছে। তবে মানুষের অসুবিধা করে ধর্মঘট করতে তাঁরা কখনই রাজি নন।
বিরোধীদের ডাকা আগের ধর্মঘটের মতো বুধবারও রাজ্য সরকারের সব অফিসে কর্মীদের উপস্থিতি সুনিশ্চিত করতে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কয়েকটি বিশেষ ও নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া এদিন অফিসে অনুপস্থিত থাকলে বেতন কাটা যাবে। কর্মজীবন থেকে একটি দিন বাদও যাবে। এর আগে ধর্মঘটের দিনগুলিতে দেখা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের অফিসগুলিতে স্বাভাবিক দিনের তুলনায় কর্মীদের উপস্থিতি বেশি থাকে। সব রাজ্য সরকারি অফিসেই ৯০ শতাংশের বেশি কর্মী সাধারণত হাজিরা দেন এইসব দিনে। ব্যাঙ্ক কর্মী ও আধিকারিকদের বৃহত্তম সংগঠনও ধর্মঘটে শামিল হয়েছে। ফলে ব্যাঙ্ক পরিষেবা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।